কালীগঞ্জ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনার পর উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম ও সদস্য আশরাফ হোসেনকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আবু সাঈদ জোয়ার্দ্দার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৩১ মে ও ১ জুন উপজেলার জামাল ও কোলা ইউনিয়নে অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে ইউনুচ আলী ও মহব্বত আলী নামের দুজন নিহত হয়েছেন। তারা আপন দুই ভাই। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের কাছ থেকে আদিষ্ট হয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনায় জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। ১ জুন সকালে এক সংঘর্ষে উপজেলার জামাল ইউনিয়নের তালিয়ান শ্মশানঘাট এলাকায় মহব্বত হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় ভাইকে রক্ষা করতে গিয়ে ইউনুছ আলী নামে তাঁর আরেক ভাই গুরুতর আহত হন। পরে তিনিও মারা যান। নিহত ইউনুচ ও মহব্বত উপজেলার নাকোবাড়িয়া গ্রামের প্রয়াত হাবিবর রহমানের ছেলে।
এলাকাবাসী জানান, জামাল ইউনিয়ন বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দুই ভাগে বিভক্ত। এক পক্ষের নেতৃত্বে আছেন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও অপর পক্ষে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মাহফুজুর রহমান। ৫ আগস্টের পর জামাল ইউনিয়নের আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপির দুই পক্ষে ঢুকে পড়ে। তারা দলে ঢুকে একের পর এক সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটাতে থাকে। এর জেরে ৩১ মে রাতে ও ১ জুন সকালে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। নিহত মহব্বত আলীর ছেলে ইনামুল হক জানান, তিনি ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি এজাহার থানায় দাখিল করেছেন। যেখানে প্রধান আসামি হচ্ছেন বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম। তিনি হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা বিএনপি করি। গত ১৭ বছর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে নির্যাতিত হয়েছি। এখন সেসব সন্ত্রাসী বিএনপির একটি পক্ষে যুক্ত হয়ে খুন-জখমসহ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। আমরা এমন বিএনপি চাইনি, আমরা শান্তি চাই।’
পূর্ববর্তী পোস্ট
কালীগঞ্জে সংঘর্ষ : নিহত জামায়াত কর্মীকে বিএনপি সাজিয়ে বাণিজ্য
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.