ঝিনাইদহের ডাকবাংলায় প্রবাসীর দোকান ভেঙে জমি দখল: জনমনে ক্ষোভ

ডাকবাংলা প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের ডাকবাংলা ত্রীমোহনী এলাকায় এক অস্ট্রেলিয়া প্রবাসীর দোকান ঘর ভেঙে জোরপূর্ব জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে। গত ৪ মার্চ সদর উপজেলার বাদপুকুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মশিউর রহমানের দোকান ঘর ভেঙে জমি দখল করে বৈডাঙ্গা গ্রামের হররত আলীর ছেলে হায়দার আলী ও হাসান। এই ঘটনায় স্থাণীয় জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ মানের মনে ক্ষোভের তৈরী হয়েছে।
সরোজমিনে একাধিক ব্যাক্তির থেকে জানা যায়, ৩১ নম্বর সাধুহাটি মৌজার ২৩৪৮ খতিয়ানের ৪৬৩৫নং দাগের ১৪ শতক জমির মূল মালিক মুনছুর আলী বিশ্বাসের দুই স্ত্রী সোনাভান নেছা ৭শতক এবং ফাতেমা খাতুন ৭ শতক। মুনছুর আলী তিনি তার দুই স্ত্রীকে সমান ভাবে ১৪ শতক জমি ভাগ করে রেজিষ্টি করে দেন। পরবর্তীতে মুনছুল আলী বিশ্বাসের স্ত্রী সোনাভান নেছা মারা যাবার পর তার ছেলে ও মেয়েরা ওয়ারেশ সূত্রে ওই জমির মালিক হন। সোনাভান নেছার ভাগের অংশ ৭ শতক জমি তার ২০১৭ সালে বাদপুকুরিয়া গ্রামের আব্দুল জলিল মিয়ার ছেলে মো. মশিউর রহমানের কাছে বিক্রয় করে। বাকি ৭ শতক জমি ফাতেমার অংশ রেজাউল ম-লের কাছে বিক্রয় করে। পরবর্তীতে রেজাউল থেকে ২০২১ সালে বৈডাঙ্গা গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে হায়দার আলী গত ৪ বছর আগে ক্রয় করেন। যার ফলে ৩১ নম্বর সাধুহাটি মৌজার ২৩৪৮ খতিয়ানের ৪৬৩৫নং দাগের ১৪ শতক জমির সোনাভানের অংশের ৭শতক জমির মালিক মশিউর রহমান এবং বাকি ৭ শতক ফাতেমার অংশের জমির মালিক হায়দার।
বাদপুকুরিয়া গ্রামের তোতা মিয়া জানান, হায়দার আলী বিদেশ থেকে দেশে ফেরার পর কিছু দুষ্টু লোকের প্ররোচনায় পড়ে গত ৪ মার্চ নিজের জমি পেছন থেকে ছেড়ে দিয়ে সামনের পজিশন দখলের উদ্দেশ্যে দোকান ভাঙচুর করে প্রচির দিয়ে ওই জমি দখল করে। পরে আদালতে গেলে আদালত ১৪৪ ধারা করে এবং পরবর্তীতে আদালত মশিউরের পক্ষে রায় দেয়। তিনি আরো জানান, ৪৬৩৫ নং দাগের ১৪ শতক জমির মধ্যে ক্রয়সূত্রে মশিউর ৭শতক এবং হায়দার ৭ সমান সমান মালিক। সামনের পজিশনও দুজনের সমান সমান। কিন্তু হায়দার পেশিশক্তি খাটিয়ে সামনের থেকে বেশি জায়গা দখল করার চেষ্টা করছে। এখানে জমির কাগজপত্র অনুযায়ী কেউ সামনে থেকে বেশি অংশ পাবে না। আবার কেউ কমও পাবে না। এখানে হায়দার নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য জোর করে জমি দখল করার চেষ্টা করছে।
এবিষয়ে হায়দারের স্ত্রী লাবনী খাতুন জানান, জমির দলীল মোতাবেক আমরা যে অংশ পাব সেটুকু বুঝিয়ে দিলে আমার কোন সমস্যা নেই। তবে জমির দলীলে সামনের পজিশন আমাদের বেশী।
জমির মালিক অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মশিউর রহমান জানান, একই দাগে ১৪ শতক জমির মধ্যে সোনাভানের অংশ ৭ শতক। তিনি মারা যাবার পর ওয়ারেশের কাছ ওই জমি ক্রয় করা হয়। আর ফাতেমার বাকি অংশ ৭শতক জমি ক্রয় করে রেজাউল। তখন আমরা উভয় সমান সমান সামনের পজিশন নিয়ে ভোগদখল করে আসছিলাম। পরবর্তীতে রেজাউলের অংশ ২০২১ সালে হায়দার আলী ক্রয় করে। হায়দার ওই জমি ক্রয় করার পর থেকে বিভিন্ন তাল বাহানা করে আসছে। একপযায়ে আমাদের অংশে দোকান ঘর ভেঙে সে জমি দখল করে। যা কোন ভাবেই তিনি এটা করতে পারেন না। আমি শুধু আমার অংশ বুঝে নিতে চাই।
এই ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা ডাকবাংলা ক্যাম্পের এসআই লিটন রাকিবের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এই ঘটনা নিয়ে যেহেতু আদালতে মামলা আছে সেহেতু আদালত এই ঘটনা নিষ্পত্তি করবে। যে দেওয়াল ভেঙে ফেলেছে সেই ব্যাপারে তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়ে দেওয়াল ভাঙ্গা বন্ধ করা হয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More