ভারত থেকে ফেরত আসা ২২ বাংলাদেশিকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর

স্টাফ রিপোর্টার: অবশেষে আপন ঠিকানায় ফিরলেন ভারত থেকে ফেরত আসা ২২ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানা পুলিশ নিজ নিজ ঠিকানায় স্ব স্ব ব্যক্তির অভিভাবকের কাছে তাদের বুঝিয়ে দেয়। এ সময় ভাই তার বোনকে, পিতা-মাতা তার সন্তানকে দীর্ঘদিন পর কাছে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। এর আগে বুধবার ১৩ আগস্ট দুপুরে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-বিএসএফ-এর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফেরত দেয়। পুলিশ ও ফিরে আসা ব্যক্তিরা জানান, মোটা টাকার বেতনের চাকরি ও কাজের প্রলোভন দেখিয়ে দালালরা দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে তাদের অবৈধভাবে ভারতে পাঠিয়েছিল। দিশেহারা হয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই না পেয়ে শুধুমাত্র বেঁচে থাকার তাগিদে কেউ ভারতের হায়দ্রাবাদে পার্লারের কাজে, কেউ উত্তর ও মধ্য প্রদেশে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। অবশেষে বুধবার ১৩ আগস্ট দুপুরে দর্শনা সীমান্তের ৭৬ নম্বর পিলারের পাশে বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের পর ২২ বাংলাদেশি নারী-পুরুষকে দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ফেরত আনা হয়। পরে তাদের দর্শনা থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়। ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন নোয়াখালী জেলার সুমাইয়া খাতুন (১৯), বরিশাল জেলার মিম খাতুন (১৫), নোয়াখালী জেলার আইরিন খাতুন (১৭), নোয়াখালী জেলার উম্মেহানি সাবু (১৮), গাজীপুর জেলার মিম খাতুন (২০), খুলনা জেলার শাহিদা আক্তার (২৪), খুলনা জেলার আফরিন বিবি (৩০), বরিশাল জেলার আবেদা খাতুন (২০), নরসিংদী জেলার শিউলি বিবি (৩৩), চুয়াডাঙ্গা জেলার রওশনারা খাতুন (২৩), পিরোজপুর জেলার মুন্নি খাতুন (২৪), চট্টগ্রাম জেলার রোমান হক (২৪), শরীয়তপুর জেলার রাশেদ আলি (২৩), বাগেরহাট জেলার আলাউদ্দিন (২২), খুলনা জেলার আরিফ (৩১), নড়াইল জেলার হাবিব রহমান (৩৪), খুলনা জেলার তারেক (৩০), নড়াইল জেলার রোমান আজিজ (৩৫), ঢাকা জেলার কৃষ্ণচন্দ্র রায় (২৬), ঢাকা জেলার সালাউদ্দিন (৫০), নওগাঁ জেলার সাথী পারভিন (৩৪) ও ঠাকুরগাঁও জেলার আরমান হোসেন (২৩)। দর্শনা থানার ওসি মোঃ শহীদ তিতুমীর জানান, বিভিন্ন জেলার ২২ জন বাংলাদেশি নারী-পুরুষকে তাদের অভিভাবকের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More