কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি: প্রেমিকার পিতার দায়ের কোপে কলেজছাত্র প্রেমিক তুষার আহত হওয়ার ঘটনায় রোববার মামলা হয়েছে কোটচাঁদপুর থানায়। তবে মামলা হলেও আসামিরা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। এদিকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা। তুষারের মা রেহানা খাতুন বলেন, আলোকদিয়া গ্রামের বকুল হোসেনের মেয়ে উর্মির সঙ্গে আমার ছেলের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। তারা এক সঙ্গে লেখা পড়াও করেছেন ছোট থেকে। গত শুক্রবার রাতে বকুল তার মেয়েকে দিয়ে মোবাইল করে আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে যান বাড়িতে। এরপর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা আমার ছেলেকে ধারালো দা দিয়ে সারা শরীরে কোপ মারে। এতে করে সে গুরুতর আহত হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে প্রতিবেশীদের সহায়তায় তুষারকে প্রথমে কোটচাঁদপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে যশোর হাসপাতালে। ওখানে ডাক্তাররা তাকে দেখে ঢাকায় রেফার্ড করেন। বর্তমানে আমার ছেলে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে তার অবস্থা ভালো না। তিনি বলেন, তাদের উদ্দেশ্য ছিল আমার ছেলেকে মেরে ফেলার। আমি ওই ঘটনায় জড়িত সকলের বিচার চাই। বিষয়টি নিয়ে রোববার সকালে কোটচাঁদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ওই ঘটনায় থানায় মামলা হলেও আসামিরা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। এদিকে ঘটনার পর থেকে বকুল ও তাঁর পরিবারের কাউকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সৈয়দ আল-মামুন বলেন, আলোকদিয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলীমুল ইসলাম। তবে ওই কর্মকর্তা জানেন না ওই মামলার তদন্তকারী তিনি। আলীমুল ইসলাম বলেন,মামলা হয়েছে কিনা আমার জানা নাই। তবে ওসি স্যার যেহেতু বলেছেন, সেহেতু মামলা হতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত মামলার কাগজ পত্র আমি হাতে পাই নাই।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.