দামুড়হুদার কাদিপুরে গৃহবধূর গলায় ফাঁস লাগানো মরদেহ উদ্ধার: রহস্য

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কাদিপুর গ্রামে সুখজান খাতুন (২০) নামের এক গৃহবধূর গলায় ফাঁস লাগানো মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই গৃহবধূ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ঝাজরি বেগমপুর গ্রামের কুদ্দুস আলীর মেয়ে ও দামুড়হুদার কাদিপুর গ্রামের ইকবাল হোসেনের স্ত্রী। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ। জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার কাদিপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে ইকবাল হোসেনের সাথে ১০ মাস পূর্বে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ঝাজরি বেগমপুর গ্রামের কুদ্দুস আলীর মেয়ে সুখজান খাতুন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিবাহের পর থেকে বেশ সুখে শান্তিতে বসবাস করছিল তারা। তাদের উভয়ের মধ্যে মিল মহব্বত থাকলেও মাঝে মাঝে ইকবাল তার স্ত্রীর কাছে টাকা দাবি করতো। এর ফলে উভয়ের মধ্যে বাগবিত-া হতো। এরই জের ধরে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে স্বামীর পরিবারের সকলের অজান্তে ঘরের বাঁশের আড়ার সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সুখজান খাতুন। পরিবারের লোকজন তাকে অনেকক্ষণ সময় দেখতে না পেয়ে ডাকাডাকি শুরু করে। একপর্যায়ে ঘরে ঢুকে তাকে ঘরের বাঁশের আড়ার সাথে ঝুলতে দেখে ডাক চিৎকার শুরু করে। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। সুখজান খাতুনের মা সেলিনা খাতুন বলেছেন, বিয়ের পর থেকেই জামাই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র ও টাকা দাবি করে আসছিলো। আমরা আমাদের সাধ্যমতো তার সব দাবি পুরণ করেছি। এইতো কিছুদিন আগে আবারও জামাই মেয়ের কাছে দেড় লাখ টাকা দাবি করে। আমরা মেয়ের সুখের কথা ভেবে এক লাখ টাকা দিতে রাজিও হয়। তবুও পাষ-রা আমার মেয়েকে মেরে ফেললো। আমরা আমাদের মেয়ের হত্যার বিচার চাই। দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আলমগীর কবির বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কারো কোনো অভিযোগ পাইনি। আত্মহত্যা না হত্যা ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে থানায়।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More