স্টাফ রিপোর্টার: পুলিশ কনেস্টবল রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। রফিকুল ইসলাম খুলনা দিঘলিয়া থানার চন্দনী মহল গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে। তিনি এক সময় চুয়াডাঙ্গাতে চাকরি করেছেন। সে সুবাদে রফিকুল চুয়াডাঙ্গা কোর্টপাড়ার মোহাম্মদ আলীর মেয়ে তালাকপ্রাপ্তা রিনা খাতুনকে (২৭) ঝিনাইদহ নিয়ে বিয়ে করেন। ঝিনাইদহ পৌরসভার ৫-৬ নং ওয়ার্ডের কাজী মওলানা হাবিবুর রহমানের কার্যালয়ে বিয়ে পড়ান পবাহাটির মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে গোলাম বারী। ১০ লাখ টাকা দেনমোহরানা ধার্য করা হলেও পরবর্তীতে রফিকুল ইসলাম, কাজীকে হাত করে এক লাখ টাকার কাবিননামা দেখান। বিয়ের পরপরই স্ত্রী রীনার ইসলামী ব্যাংকের চেক জমা দিয়ে চুয়াডাঙ্গা কোর্ট রোডের জাকির মটরস থেকে ইয়ামাহা ফিজার ১৫০ সিসি মোটরসাইকেল কেনেন। রীনা টাকা পরিশোধ করলেও রফিকুল চেক ও গাড়ির চাবি শোরুম থেকে স্বাক্ষর করে বুঝে নেন। রফিকুল স্ত্রীর আলমারি থেকে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড চুয়াডাঙ্গা শাখার হিসাব নম্বরের ১১৬৩৯০৬ ও ১১৬৩৯০৭ নম্বরের দুটি চেক চুরি করে নিজ হেফাজতে নেন। রীনার প্রথম পক্ষের সন্তান রাব্বীকে সরকারি চাকরি দেয়ার কথা বলে স্ত্রীর নিকট থেকে নগদ ২৩ লাখ টাকা নেন রফিকুল। চাকরি না দিয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে বদলি হয়ে চলে যান তিনি। রীনা আদালতে অর্থ আত্মসাত, জালিয়াতির মামলা করেন। মামলাতে বিজ্ঞ আদালত এফ আইআর এর আদেশ দেন। কনস্টেবল রফিকুল অপরাধের জন্য ক্ষমা চেয়ে ঘর সংসার করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মামলা প্রত্যাহার করান। কিন্তু সে সংসার না করে তার মামাতো ভাই নড়াইল কালিয়ার খড়রিয়া গ্রামের খোকন কাজীর ছেলে কবির হোসেনকে দিয়ে মোটরসাইকেলের শোরুম থেকে ফেরত নেয়া চেকে ১২ লাখ ২০ হাজার টাকা লিখে স্ত্রীর বিরুদ্ধে নড়াইল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চেক ডিসঅনারের মামলা করেছেন। রফিকুল স্ত্রীর মামলা থেকে বাঁচতে তার কাছে রক্ষিত চুরি করা রীনার নামীয় দুটি চেক দিয়ে আরও মামলা করার হুমকি দিচ্ছেন নিজে নিজে রীনার স্বাক্ষর করে যৌথ তালাক সম্পাদন দেখাচ্ছেন। রীনার আমেরিকা প্রবাসী ভাই, তার ছেলে ভাগ্নে রাব্বীর জন্য টাকা দিয়েছিলো। কনস্টেবল রফিকুল দাবি করছেন যে তিনি চট্টগ্রামে চাকরি করছেন। স্ত্রী রীনা মামলা মোকদ্দমা তুলে না নিলে তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে মামলা করবেন। রিনা অনন্যোপায় হয়ে আইনি সহায়তা চেয়ে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট মানি খন্দকার বরাবর আবেদন করেন। সংস্থার নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতারণা, বিশ্বাস ভঙ্গ, জালিয়াতির মামলা দায়েরসহ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও ডিআইজি বরাবর রীনার আবেদন দাখিলের যাবতীয় আইনি সহায়তা দেবে মানবতা ফাউন্ডেশন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.