স্টাফ রিপোর্টার ওলকচু ও মুগের ওপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
চুয়াডাঙ্গায় বারি ওলকচু-২ ও বারি মুগ-৬ জাতের উৎপাদন কর্মসূচির ওপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে পৌর এলাকার বুজরুকগড়গড়ী বনানীপাড়া ঈদগাহ ময়দানে এ মাঠ দিবসটি অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে উপ-প্রকল্প পরিচালক (ডিপিডি) ড. জাহান আল মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার নুরুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। মাঠ দিবসে কুষ্টিয়া মৃত্তিকা গবেষণা কেন্দ্রের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শফিকুল মওলা বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। কুষ্টিয়া সগবি এএস্ও মো. মামুন হুসাইনের সঞ্চালনায় মাঠ দিবসে কুষ্টিয়া সগবি এস,ও মো. রাসেল কবীর তরফদার বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথি জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, এ অঞ্চলের মাটে চমৎকার। বৃষ্টি হলে ফসল ভালো হয়। এ এলাকার মাটি বৃষ্টি ধরে না। সাথী ফসল হিসেবে মুগের সাথে কলা চাষ করা হয়েছে। মাটিতে জৈব সার দিতে হবে। জমিতে ঘাস হলে, ফসল হবে। কোদাল দিয়ে কোপালে ৯ ইঞ্চি মাটি কাটে। অসুস্থ হলে মানুষকে স্যালাইন দিতে হয়। গোবর দিলে জমিতে উপকার হয়। প্রত্যেক বছর একবার মাটি টেষ্ট করাতে হবে। মাটির উৎপাদন ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে হবে। তেলের জন্য ১ কেজি বীজ দিয়ে সরিষা চাষ করতে পারেন। জাত সম্পর্কে জানতে হবে। ভালো ও টকসই জাতের বীজ লাগাতে হবে। ডাল জাতীয় ফসল কমে যাচ্ছে। এটা আমরা আমরা আবাদ করবো। জৈব সারে ফিরে যেতে হবে। জৈব সারের বিকল্প নেই। নিরাপদ খাদ্য খাবো, কীট নাষক ব্যবহার করবেন না। বেগুনের পোকা মেরে ফেলতে পারেন। ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করতে পারেন।
মাঠ দিবসের সভাপতি ডিপিডি ড. জাহান আল মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উৎপাদিত কন্দল ফসল বারি ওলকচ-২ জনপ্রিয় সবজি। দাম কেজি প্রতি ৫০/৬০ট কা। হেক্টর প্রতি ৭৫ মেট্রিক টন ওলকচু উৎপাদিত হয়। এটি অন্যান্য ফসলের চেয়ে অত্যন্ত লাভজনক। এ অঞ্চলে হলুদ, কচু, মুগ ও মাসকলাই চাষাবাদ হচ্ছে। ৬০ হেক্টর জমিতে প্রডাকশন করা হয়েছে। চলতি ২০২৫-২০৬ সালে আরো শতকরা ২৫ ভাগ বৃদ্ধি পাবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
চুয়াডাঙ্গায় তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.