চুয়াডাঙ্গায় মেছো বিড়াল সংরক্ষণে সচেতনতামূলক প্রচারণায় ইউএনও

মেছোবিড়াল আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে

স্টাফ রিপোর্টার: ‘জনগণ যদি হয় সচেতন, মেছোবিড়াল হবে সংরক্ষণ’ সেøাগানকে সামনে রেখে মেছোবিড়াল সংরক্ষণের জন্য সচেতনতামূলক প্রচারণা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। গতকাল বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা চত্বর থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম সাইফুল্লাহ। সামাজিক বন বিভাগ যশোর বন অধিদপ্তর এ কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ সময় তিনি বলেন, মেছোবিড়াল আমাদের কোনো ক্ষতি করে না বরং আমাদের অনেক উপকার করে থাকে। এরা সাধারণত ব্যাঙ, সাপ, পাখি, কাকড়া, পোকামাকড়, গুইসাপ খেয়ে থাকে। এমনকি কৃষকদের ফসলের ক্ষতিকর ইদুর ধরে কৃষকদের উপকার করে থাকে। মেছোবিড়াল দেখলে প্রায় চিতা বাঘের মত দেখায় বলে মানুষ আতঙ্কে এদেরকে মেরে ফেলে। মেছোবিড়াল আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে থাকে। এদেরকে না মেরে সংরক্ষণ করার জন্য সকলের প্রতি আহব্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সরকার এদের সংরক্ষণের জন্য বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ প্রনয়ন করেছে। এ আইনে মেছো বিড়াল শিকার, ধরা, মারা, পরিবহন, ক্রয় বিক্রয় ও পাচার করা দ-ণীয় অপরাধ। যার সাজা এক বছর কারাদন্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দ-ে দ-িত হবে। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বনকর্মকর্তা রকিব উদ্দিন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার সোহেল আহমেদ, শঙ্করচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান মহিউল আলম সুজন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সোহেল আহাম্মেদ, পল্লী উন্নয়ন সংস্থা পাস,র নির্বাহী পরিচালক মো. ইলিয়াস হোসেন, পরিবেশবাদী সংগঠন মানবতার জন্য ও পানকৌড়ি র সদস্যগণ। প্রচারাভিযান চুয়াডাঙ্গা সদর হতে দামুড়হুদা হয়ে জীবননগর পর্যন্ত চলেছে। প্রচারণা গাড়ির সাথে মানবতার জন্য সংগঠনের আব্দুল মান্নান, সুলতান সরকার, লাবু রহমান, সতেজ হোসেন ও বন বিভাগের কর্মচারীরা অংশ নেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More