চুয়াডাঙ্গা শহরের ছিনতাইয়ের ঘটনায় তাৎক্ষণিক পুলিশি পদক্ষেপ এক ছিনতাইকারী গ্রেফতার : ছিনতাইকৃত টাকার অংশবিশেষ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা শহরের ছিনতাইয়ের ঘটনায় আব্দুস সামাদ নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সাথে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও ছিনতাইকৃত টাকার অংশবিশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কনক কুমার দাস। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাধীন ভীমরুল্লা এলাকার আরিফুল ইসলামের মেয়ে আরিফা খাতুন (২২) গত রোববার তার শাশুড়ি রুশিয়া খাতুনকে সাথে নিয়ে এনজিও ঋণ নিতে আসেন ঈদগাপাড়ায়। ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিও থেকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ উত্তোলন করে বিকেলে সাড়ে ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গার হোটেল সাঈদ প্যালেসে কর্মরত স্বামী আকাশ আলীকে ৩ হাজার টাকা দিয়ে বাকী ৫৭ হাজার টাকাসহ ভ্যানিটি ব্যাগ শাশুড়ি রুশিয়া খাতুনের হাতে দিয়ে তারা দুজন বাড়ি উদ্দেশ্যে পাখিভ্যানযোগে রওনা হন। কোর্টমোড় থেকে পাখিভ্যান থেকে নেমে একটি ইজিবাইকযোগে ভিমরুল্লার উদ্দেশ্যে রওনা হলে বিকেলে পৌন ৪টার দিকে কেদারগঞ্জ আদর্শ স্কুলের সামনে পৌছালে স্পীডবেকার থাকার ইজিবাইকটি ধীরে চলার কারণে পেছন দিক থেকে আসা একটি কালো রংয়ের হিরো স্পিলিন্ডার (চুয়াডাঙ্গা-হ-১৪-৯৩৮৪) মোটরসাইকেলে থাকা দুজন ইজিবাইকের পাশে এসে রুশিয়া খাতুনের হাতে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগটি টান মারলে রুশিয়া খাতুন ইজিবাইক থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। এক পর্যায়ে মোটরসাইকেল থাকা ব্যক্তি রুশিয়া খাতুনকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে তার কাছে থাকা টাকাসহ ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আরিফা খাতুন ও রুশিয়া খাতুনের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে টাকার ব্যাগ নিয়ে মোটরসাইকেল আরোহীরা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে তথ্যপ্রযুক্তি ও সিসি ক্যামেরা ফুটেজের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। পুলিশ সুপার গোলাম মওলার নির্দেশে সদর থানা ওসি খালেদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাস, এসআই মহাদেব বাছাড়, এসআই মো. মানজারুল ইসলাম, এএসআই মো. বাদশা আলমগীর, এএসআই মো. শামিম রেজা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে গতকাল সোমবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গার জাফরপুর গ্রামের মৃত চাঁদ আলী মল্লিকের ছেলে আব্দুস সামাদ মল্লিক (৪৫) গ্রেফতার করেন। গ্রেফতার আব্দুস সামাদ ছিনতাইয়ে ঘটনা স্বীকার করে তার ভাগের ১৫ হাজার টাকা বের করে দেন। ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত অপর আসামিকে গ্রেফতারের পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে তার নাম প্রকাশ হয়নি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More