জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া বাজারে ইউএনও পরিচয়ে চাঁদাবাজি

হোটেল ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে বিকাশে টাকা আদায়
আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া বাজারে ইউএনও পরিচয় দিয়ে হোটেল এ- রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের নিকট এক প্রতারক গণহারে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গত শনিবার প্রতারক বিকাশে টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটলেও হোটেল ব্যবসায়ীরা মুখ না খোলায় গতকাল সোমবার প্রতারিত হোটেল ব্যবসায়ীদের ইউএনও তলব করায় বিষয়টি এলাকায় সরব হয়ে উঠেছে। প্রতারক এ কাজে এক গ্রাম পুলিশকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে।
এলাকাবাসী ও হোটেল এ- রেস্টুরেন্টের মালিকগণ সুত্রে জানা গেছে, গত শনিবার এক প্রতারক নিজেকে ইউএনও পরিচয় দিয়ে ০১৭১৩১৬৬৬২১ নম্বর থেকে আন্দুলবাড়িয়া ইউপির গ্রাম পুলিশ শুকুর আলীকে ফোন করেন। তিনি গ্রাম পুলিশকে বলেন, বাজারের হোটেল এ- রেস্টুরেন্ট মালিকদের সাথে জরুরী কথা আছে। নম্বরটি দিয়ে কথা বলতে বলো। গ্রাম পুলিশ শুকুর আলী এ ফোন পেয়ে দোকানে দোকানে গিয়ে নম্বরটি দিয়ে হোটেল মালিকদের জরুরী ভিত্তিতে ইউএনও সাহেবের সাথে কথা বলতে বলেন। হোটেল এ- রেস্টুরেন্টের মালিকগণ ওই নম্বরে কথা বললে অপরপ্রাপ্ত থেকে নিজেকে ইউএনও পরিচয় দিয়ে বলেন, আপনারা করোনা সংক্রমনের মধ্যে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করে রমরমা ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এ বিষয়ে নথিপত্রে আপনাদের নাম এসেছে। আমি আসছি সব হোটেলে ভ্র্যামমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও হোটেল সিলগালা করে দেয়া হবে। আমি আসছি। আপনারা পালবেন না। আপনার কথাবার্তা ভালো লেগেছে। এলাকায় আপনার প্রতিষ্ঠানের সুনাম আছে। সে জন্য আপনাকে ভ্র্যামমাণ আদালতের বাইরে রেখে অন্যদের মোটা অংকের টাকা জরিমানা করা হবে। এ কথা শুনে ব্যবসায়ীরা ভীত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পর ওই প্রতারক তার মোবাইল ফোন নম্বর থেকে ফের ব্যবসায়ীদের নিকট ফোন করে বলেন, আমি অফিসিয়ালি কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। আপনি ০১৯১০৫৪১৯৩৯ নম্বরে বিকাশে ১৫ হাজার করে টাকা দেন। টাকা দেয়ার বিষয়টি আপনি গোপনীয়তা রক্ষা করবেন। প্রতারকের এ কথা শুনে আন্দুলবাড়িয়া বাজারের শিমুল হোটেল এ- রেস্টুরেন্টের মালিক রেজাউল ইসলাম খান ১০ হাজার টাকা, মায়ের দোয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক আমিনুল ইসলাম খান ৫ হাজার টাকা, আক্তার হোটেল অ্যা- রেস্টুরেন্টের মালিক শেখ আব্দার রহমান ৫ হাজার টাকা ওই বিকাশ নম্বরে দেন। প্রতারণার স্বীকার আরো কয়েকজন হোটেল ব্যবসায়ী লজ্জায় মুখ খুলছে না বলে সুত্রে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মুনিম লিঙ্কনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি এ উপজেলায় নতুন এসেছি। আমার মোবাইলফোন নম্বর অনেকের জানা নেই। সে কারণে প্রতারক সুযোগ নিয়েছে। তবে তার মোবাইলফোনের সূত্র ধরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More