টুংটাং শব্দে মুখরিত মেহেরপুরের কামারপড়া

তৌহিদুল ইসলাম তুহিন: আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন মেহেরপুরের কামাররা। নানা রকম অস্ত্র বানানোর হাতুড়ির টুংটাং শব্দে মুখরিত কামারপাড়া। বছরের অন্য সময়ের তুলনায় কোরবানির সিজনে ব্যস্ততা বেড়ে যায় বহুগুণ। কেউ আসে নতুন ছুরি, দা, ডাসা বানাতে আবার কেউ কেউ আসে পুরোনো অস্ত্র শানিয়ে নিতে। কামার পেশাটা অনেকটা বংশপরম্পরায় করে আসে অনেকেই। তবে আধুনিকতার ছোয়ায় এই পেশা থেকে অনেকেই চলে আসছে। বেছে নিচ্ছে অন্য পেশা। সারা বছর ভরপুর কাজ না থাকায় এই পেশা থেকে সরে আসছে বলে জানান অনেকে। কয়েকজন কামারের কাছ থেকে জানাগেছে গোটা জেলায় প্রায় ৩ হাজার কামারের ব্যাবসা ছিল। তনে এ বছর তার অর্ধেক হবে বলে জানান। বাজারে কম দামে প্রয়োজনীয় অস্ত্র পাওয়ায় কামারের চাহিদা কমেছে। শুধু বছরের এই কোরবানির সিজনে কাজের ব্যস্ততা বাড়ে। অন্য সময় বসে থেকে অলস সময় কাটাতে হয়। মেহেরপুর শহরের নতুন পাড়ার কার্তিক কামার বলেন, বছরের এই কুরবানির সময় আমাদের কাজের পরিমাণ বেড়ে যায়। কিছুদিন পরেই কুরবানির ঈদ, অনেকেই পশু কোরবানি করবেন। তাই তাদের অস্ত্র গুলো শানিয়ে নিতে আসে। অনেিেক নতুন অস্ত্র বানায়। এ সিজনে ৮-১০ দিন প্রচুর কাজ হয়। কিন্তু বছরের অন্য সময় বসে থাকতে হয়। কোন রকম দিন হাফ বেলা দোকান খুলে বসে থাকি। এর পাশাপাশি রিক্সা চালায়। মোনাখালি গ্রামের কিরামত কামার জানান, এ বছর ছোট ছুরির অর্ডার বেশি। প্রতিদিন প্রায় ১০-১২টা ছুরি বানানো যায়। পাশাপাশি পুরোনো দা, বটি, ডাসা নতুন করে ধারালো করা হয়। ট্রাক্টরের ফলা, বিয়ারিং এসব ধাতব নিয়ে অনেকেই। সেগুলো দিয়ে ভালো মানের অস্ত্র বানানো যায়। তবে গত বছরের তুলনায় এবার কাজ কম। সুরমান কামার কাজ মেহেরপুর শহরের গো হাট সংলগ্ন এলাকায়। তাকে সহোযোগিতা করে তার স্ত্রী। সুরমান বলেন, বাজারে কম দামে নতুন অস্ত্র পাওয়া যাচ্ছে। যো গুলো তৈরি হয় মেশিনের সাহায্যে। এজন্য আমাদের কদর কমেছে। কিন্তু ভালো মানের অস্ত্র হাতুড়ির আঘাতে বানানো হয়। মেশিনে বানানো অস্ত্রের স্থায়িত্ব কম।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More