স্টাফ রিপোর্টার: মেহেরপুরের বাজারে ভর মরসুমী পেঁয়াজের ঝাঁঝ বেড়ে গেছে। বেগুনের কাটা যেনো ক্রেতা সাধারণের গলায় বিধছে। কাঁচাবাজারে কেবল রসুন এবং গাজর ব্যতীত অন্যান্য তরিতরকারি দাম ঊর্ধ্বমুখী। গতকাল শুক্রবার সকালে মেহেরপুর শহরের বড়বাজারে কাঁচাবাজারের আড়ত ঘুরে দেখা গেছে গত এক সপ্তাহের তুলনায় পেঁয়াজের কেজি দ্বি-গুনে পরিণত হয়েছে। বাজারে পাইকারি পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সেই পেঁয়াজ খুচরা বাজারে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আলু বাজারের পাইকারি ১০ টাকা, খুচরা বাজারে গিয়ে ১৫ টাকা। রসুন পাইকারি ২৫ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে, খুচরা ৫০ টাকা কেজি। কাঁচা ঝাল গত সপ্তাহে পাইকারি বাজারে বেড়েছে কেজি প্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা। বর্তমানের কাঁচা ঝাল পাইকারি ৪০ টাকা খুচরা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এবার পুরো শীত জুড়েই বেগুনের কাটা যেন ক্রেতা সাধারণের গলায় বিধেছে। কেন না শীত মরসুমে বেগুনের দাম সবচেয়ে কম হওয়ার কথা থাকলেও এবারের চিত্র উল্টো দেখা গেছে। বাজারে ৪০ থেকে ৪২ টাকা পাইকারী দরে বিক্রি হচ্ছে। সেই বেগুন খুচরা দরে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। টমেটো প্রকারভেদে ২০ থেকে ৪০ টাকা। পাইকারি, খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। মটরশুঁটি ৪৫ টাকা পাইকারি। খুচরা ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় সিমের দাম বেড়ে গেছে অনেকাংশে।
গতকাল শুক্রবার ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি হয়েছে সিম। খুচরা বাজারের ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পালংশাক, বাঁধাকপি পাইকারি আট থেকে ১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রকার ভেদে ১৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফুলকপি, গাজর, পুঁই শাক, লাল শাক যথেষ্ট আমদানি থাকলেও দাম তুলনামূলকভাবে বেশি। আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে আমদানি কম থাকার কারণে বাজার ঊর্ধ্বমুখী।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ