পরকিয়ায় আসক্ত স্ত্রীকে ঘরে তুলতে নারাজ স্বামী
আলমডাঙ্গার খাসকররায় ওষুধ ব্যবসায়ী ফারুকের পরকিয়ার ঘটনায় নাটকীয়তা : ধামাচাপা দিতে মরিয়া প্রভাবশালীরা
স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার খাসকররায় গৃহবধূর সাথে ওষুধ ব্যবসায়ীর পরকীয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর শুরু হয়েছে নানা নাটকীয়তা। মীমাংসার নামে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলছে প্রভাবশালীদের নাটক ও অর্থ লেনদেন। এদিকে, পরকীয়ার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর স্ত্রীকে ঘরে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ওই গৃহবধূর স্বামী। অভিযুক্ত ওষুধ ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন খাসকররা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় বারবার মীমাংসার কথা বলেও বাজারের সভাপতি এবং স্থানীয় প্রভাবশালীরা তা করতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করে ওই গৃহবধূর স্বামী জানিয়েছেন, ফারুকের কারণে তার সংসার ভেঙে যেতে বসেছে, তিনি ফারুকের বিচার দাবি করেছেন।
গৃহবধূর স্বামী অভিযোগ করে বলেন, আমি দরিদ্র মানুষ। আর আমার এই দরিদ্রতার সুযোগ নিয়ে আমার স্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলার পাঁয়তারা করেন খাসকররা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওষুধ ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন। পয়সাওয়ালা লোক হওয়ায় বিভিন্ন কৌশলে একপর্যায়ে আমার স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর থেকে আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মাঝে অশান্তি শুরু হয়। প্রায় সারাদিনই আমার স্ত্রী মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। কিছু বললেই অশান্তি। এরই মাঝে স্ত্রীর মোবাইলের কল রেকর্ডিং পাই। ফারুকের সাথে কথা বলার ওই রেকর্ডিংয়ে যা শুনতে পেয়েছি তা বলার মতো না।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর বাজার কমিটির সভাপতি নিজে দায়িত্ব নিয়ে মিমাংসার কথা বলেন। ক’দিন ধরে বসাবসির সময় দিয়ে নানা অজুহাতে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন। বিষয়টি চাপা দেয়ার জন্য আলমডাঙ্গার সাংবাদিকদের টাকাও দিয়েছেন। স্থানীয় প্রভাবশালীরাও এখন ফারুকের পক্ষ নিয়েছে। আমার তো আর টাকা নেই যে আমি টাকা ছড়িয়ে বিচার পাবো। গরীব মানুষ বলেই সংসার ভেঙে দেয়ার পরও কোনো বিচার পাচ্ছি না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাজারের অপর এক ব্যবসায়ী বলেছেন, ফারুক বাজারের সেক্রেটারি আর মিজান সভাপতি। তাদের মধ্যে খুবই ভালো সম্পর্ক। দুজনে যা মনে করবে তাই হবে। সভাপতি কি আর সেক্রেটারির বিরুদ্ধে যাবে?
খাসকররা বাজার কমিটির সভাপতি মিজান বলেন, ফারুক সমাজের একজন সম্মানিত ব্যক্তি। এ কারণেই বিষয়টির মীমাংসা করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু সকলে উপস্থিত না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। তবে সাংবাদিকদের টাকা দেয়ার প্রশ্নে কেনো উত্তর দেননি মিজান।
এদিকে, পরকীয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে ওষুধ ব্যবসায়ী ফারুক বলেছেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তবে কল রেকর্ডিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি নিজের মানসম্মানের কথা বলে বিষয়টি ছাড় দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এর জন্য প্রতিবেদককে খরচখরচা দেয়ারও চেষ্টা করেন ফারুক।