এবার ঋতুপর্ণাদের সামনে বিশ্বকাপ আর অলিম্পিকে খেলার হাতছানি

মিয়ানমারকে হারাতেই সম্ভাবনাটা মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল। এরপর গ্রুপের বাকি দুই দল বাহরাইন আর তুর্কমেনিস্তান ড্র করতেই নিশ্চিত হয়ে যায়, বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো খেলছে নারী এশিয়ান কাপে। তবে ঋতুপর্ণাদের স্বপ্নযাত্রা এখানেই শেষ হোক, তা নিশ্চয়ই কেউ চাইবেন না। দলের সামনে যে এখন নারী বিশ্বকাপ আর অলিম্পিকে খেলার হাতছানিও আসছে!

বিশ্বকাপ আর অলিম্পিকের হাতছানি, কারণ যে এশিয়ান কাপে খেলবে বাংলাদেশ, সেটা থেকে জায়গা মিলতে পারে ওই দুই আসরে। এশিয়ান কাপটাই বাছাইপর্ব হিসেবে কাজ করবে বিশ্বকাপ আর অলিম্পিকের।

আসছে বছর মার্চে শুরু হতে যাওয়া এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে চার দল করে তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে ১২টি দল। এই গ্রুপ পর্ব শেষে তিন গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল ও তৃতীয় হওয়া সেরা দুটি দল উঠবে কোয়ার্টার ফাইনালে। এরপর সেমিফাইনাল ও ফাইনাল।

এশিয়া থেকে সরাসরি ৬ দল খেলবে বিশ্বকাপে, দুটো দল আন্ত-মহাদেশীয় প্লে অফ জিতেও সুযোগ পেতে পারে। এশিয়ান কাপের সেমিফাইনালে খেলা ৪ দল সরাসরিই খেলবে বিশ্বকাপে। আর কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়া ৪ দল খেলবে দুটো প্লে অফ ম্যাচ। জিতলে বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত হয়ে যাবে, আর হেরে যাওয়া দুই দল খেলবে আন্ত-মহাদেশীয় প্লে অফে।

এদিকে অলিম্পিকের বাছাইপর্ব হিসেবেও কাজ করবে এই এশিয়ান কাপ। কোনোভাবে গ্রুপ পর্বের বৈতরণী পেরিয়ে যেতে পারলেই মিলবে ২০২৮ লস এঞ্জেলস অলিম্পিকে খেলার সুযোগ। এশিয়ান কাপে নাম লেখাতেই এসব সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেছে কোচ পিটার বাটলারের দলের সামনে। আফইদা, ঋতুপর্ণা নিশ্চয়ই সে সুযোগটা দু’হাতেই লুফে নিতে চাইবেন!

তবে এই সম্ভাবনার দুয়ার শুধু বাংলাদেশের নয়, ভারত আর নেপালের সামনেও খুলে যেতে পারে। ‘বি’ গ্রুপ থেকে ভারত শেষ ম্যাচে থাইল্যান্ডকে হারাতে পারলেই চলে যাবে এশিয়ান কাপে। এদিকে ‘এফ’ গ্রুপ থেকে নেপালের সমীকরণটাও একই। শেষ ম্যাচে উজবেকিস্তানকে হারাতে হবে তাদের। সেটা হয়ে গেলে সাফ অঞ্চল থেকে ৩টি দল খেলতে পারবে এশিয়ান কাপে। তাদের সবার সামনে সুযোগ থাকবে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ারও!

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More