পরিস্থিতি যখন প্রতিকূলে থাকে, তখন নাকি একটা মিনিটও এক দিনের সমান মনে হয়। সে হিসেবে প্রায় এক মাস লম্বা শ্রীলঙ্কা সফরটা এখনই একটা শতাব্দির সমান মনে হওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের। সেই ‘সুদীর্ঘ’ সফরের শেষ ভাগ, টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু আজ থেকে। কথায় আছে শেষ ভালো যার, সব ভালো তার, সে হিসেবে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা দিয়েই বাংলাদেশ সব যন্ত্রণাক্লিষ্ট স্মৃতির শোধবোধ করতে চাইবে নিশ্চয়ই!
দুটো টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে; তার মধ্যে প্রথম টেস্টে চালকের আসনে থেকে ড্র, তারপর ওয়ানডেতে একটা জয়। সব মিলিয়ে সফরটাকে এতটা ‘যন্ত্রণাক্লিষ্ট’ও মনে হওয়ার কথা নয় আপাতদৃষ্টিতে। কিন্তু বাকি সব ম্যাচে যে হেরেছে, সেসব ম্যাচে পুরোনো ‘কাঠামো’ মেনে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়া জানান দিচ্ছে, সফরটা কেমন কাটছে দলের। ম্যাচে দলের দেহভাষ্য আর ড্রেসিংরুমে আর সবার চেহারাও বলে দিচ্ছে, দল ঠিক কেমন বোধ করছে এখন।
তবে নতুন শুরু সবসময়ই নতুন করে সব হিসেব লেখার সুযোগ করে দেয়। আর কিছুক্ষণ পর থেকে শুরু হতে চলা টি-টোয়েন্টি সিরিজটাও সে সুযোগটাই দিচ্ছে বাংলাদেশকে। তবে সমস্যা হচ্ছে কোভিড-পরবর্তী ক্রিকেটে তিন ফরম্যাটের ভেতর এই টি-টোয়েন্টিটাকেই সবচেয়ে বেশি দুর্বোধ্য মনে হয়েছে দলের। শেষ কিছু দিনে দৃশ্যটা আরও বাজে, ১৫ ম্যাচ খেলে ১১টাই হেরেছে।
সবকিছুরই একটা শেষ থাকে, নিজেদের পায়ের তলাতে মাটি খুঁজে বেড়ানোর সময়টা এই সিরিজ দিয়েই শেষ হোক, বাংলাদেশ নিশ্চয়ই তা চাইবে। সেটা হয়ে গেলে উপরি পাওনাও আছে বৈকি! আসছে বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক এই শ্রীলঙ্কাও। তুলনামূলক তরুণ বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞতা অর্জনের ভালো একটা মঞ্চও হয়ে যেতে পারে এই সিরিজ।
মোটাদাগে ওয়ানডের দলটাই খেলতে পারে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। তবে টপ অর্ডার ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্তকে স্কোয়াডে রাখা হয়নি। ফলে তিনে আসবেন লিটন দাস। এরপর তাওহীদ হৃদয়, শামীম হোসেন পাটোয়ারী ও জাকের আলী অনিকদের নিয়ে গড়া হবে মিডল অর্ডার।
মেহেদী হাসান মিরাজের টি-টোয়েন্টি ফর্ম মোটেও যুতসই নয়, শেষ ৬ ম্যাচে পেয়েছেন ৩ উইকেট, ১৩০ রান করেছেন ১০০’র আশেপাশে স্ট্রাইক রেটে। তবে সে ফর্ম যেমনই হোক, তিনি আজ সুযোগ পেতে পারেন একটা। তার সঙ্গে দ্বিতীয় স্পিনার হবেন রিশাদ হোসেন।
তিন পেসার নিয়ে নামতে পারে বাংলাদেশ। তানজিম হাসান সাকিবের সঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমান আর তাসকিন আহমেদকে নিয়ে গড়া হবে পেস আক্রমণ।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ–
তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন দাস (অধিনায়ক, উইকেটরক্ষক), তাওহীদ হৃদয়, শামীম পাটোয়ারী, জাকের আলী অনিক, মেহেদী হাসান মিরাজ, তানজিম হাসান সাকিব, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.