বড় হারের পর মিরপুরের উইকেট নিয়ে কী বললেন লিটন

পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ। সেই সিরিজে ‘বাংলাওয়াশ’ করার দারুণ সুযোগ ছিল লিটন দাসদের সামনে। এর আগে কেবল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডকেই হোয়াইটওয়াশ করার অভিজ্ঞতা ছিল টাইগারদের। কিন্তু শেষ ম্যাচে সেই সুযোগ হারালো স্বাগতিকরা। মিরপুরে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে দুর্বল ব্যাটিংয়ের কারণে ৭৪ রানে হেরে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ শেষ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

লিটন টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু শুরুতেই সেই সুবিধা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। পাকিস্তানের দুই ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান ও সাইম আয়ুব আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৮২ রানের জুটি গড়েন। পরে হাসান নওয়াজ ও মোহাম্মদ নওয়াজ দ্রুত রান তুলে দলকে নিয়ে যান ১৭৮ রানে, যা মিরপুরের মন্থর উইকেটে বেশ চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। একের পর এক উইকেট হারিয়ে তারা ছিটকে পড়ে ম্যাচ থেকে। শেষ পর্যন্ত ১৬.৪ ওভারে অলআউট হয় মাত্র ১০৪ রানে। সাইফউদ্দিন ছিলেন একমাত্র ব্যতিক্রম। তিনি অপরাজিত থাকেন ৩৫ রানে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আসে নাইমের ব্যাট থেকে—১৭ বলে ১০।

দ্বিতীয় ম্যাচ জেতা দলের পাঁচ ক্রিকেটারকে বিশ্রামে রেখে একাদশে আনা হয় নাসুম আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, মেহেদি হাসান মিরাজ ও তানজিদ হাসান তামিমকে। এত বড় রদবদলে ছন্দপতন হয় দলের, যার প্রভাব পড়ে ম্যাচের ফলাফলে।

পরাজয়ের পর অধিনায়ক লিটন দাস বলেন, ‘এটা খুবই হতাশার। যদিও ছেলেরা পুরো সিরিজে ভালো খেলেছে। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো ছিল। কিন্তু আমরা ব্যাট হাতে ভালো করতে পারিনি।’

তবুও সিরিজ জয়ে তিনি আশাবাদী ভাব প্রকাশ করেন। লিটন বলেন, ‘প্রথম দুই ম্যাচে যারা সুযোগ পায়নি, তাদের আমরা আজ খেলতে দিয়েছি। পুরো সিরিজকে যদি দেখি, তাহলে এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক। আমি বিশ্বাস করি, আমরা সঠিক পথেই আছি।’

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More