যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপ খেলাই অনিশ্চিত ইরানের, নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা

মাথাভাঙ্গা মনিটর : ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপের মূল আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র, সাথে আছে কানাডা ও মেক্সিকো। টুর্নামেন্টের বেশিরভাগ ম্যাচ এমনকি ফাইনালও অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রে। এতে অংশগ্রহণই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এরইমধ্যে কোয়ালিফাই করা ইরানের। সাম্প্রতিক বিমান হামলা ও যুদ্ধাবস্থার প্রেক্ষাপটে বিশ্বকাপ থেকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে ইরানকে। এমন শঙ্কাই তৈরি হয়েছে কূটনৈতিক ও ক্রীড়া মহলে। চলতি বছরের মার্চে উজবেকিস্তানের বিপক্ষে ড্র করে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছিল ইরান। ইতোমধ্যেই নানা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে যুদ্ধরত দেশগুলোকে নিষিদ্ধ করার নজির রয়েছে। যেমন, ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা ও উয়েফা। ৯০ দশকে বলকান সংঘাতের সময় নিষিদ্ধ হয়েছিল যুগোস্লাভিয়া। সে হিসেবে ইরানের ওপরও এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছেন না ক্রীড়া বিশ্লেষকরা। এদিকে চলতি মাসের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১২টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন, যার মধ্যে ইরানও রয়েছে। যদিও খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বকাপের সূচি অনুযায়ী, গ্রুপ এ-তে থাকলে ইরান তাদের সব ম্যাচ মেক্সিকোতে খেলতে পারে। তবে গ্রুপ পর্ব পেরুলেই খেলতে হবে যুক্তরাষ্ট্রে, যা টুর্নামেন্ট আয়োজকদের জন্য বাড়তি মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। এদিকে, যুদ্ধাবস্থায় নিজ দেশেই আটকা পড়েছেন ইরানি তারকা মেহদি তারেমি। ইন্টার মিলান তাকে ক্লাব বিশ্বকাপের দলে রেখেছে, কিন্তু তেহরান ছাড়তে না পারায় যুক্তরাষ্ট্রে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে, ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যন্ত তারোমিকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়েছে। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কিছু বলেননি। তবে যুদ্ধ পরিস্থিতির অবনতি হলে বিশ্বকাপে ইরানের অংশগ্রহণ একপ্রকার অনিশ্চিত বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More