আগামী জাতীয় নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই: প্রধানমন্ত্রী

 

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশে আগামী সাধারণ নির্বাচন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে হবে এবং তা অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সরকারের অধীনে অবশ্যই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।’ বুধবার কাতারের দোহার র‌্যারফেলস হোটেলে কাতার ইকোনমিক ফোরামের ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথোপকথন’ শীর্ষক অধিবেশনে তিনি এসব বলেন। কাতার ইকোনমিক ফোরামের এডিটর-অ্যাট-লার্জ হাসলিন্দা আমিন ওই অধিবেশন পরিচালনা করেন। বিরোধী দল বিএনপি এবং তার মিত্ররা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসনের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের পদত্যাগ দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করার সময় প্রধানমন্ত্রী এ বক্তব্য দেন। বাংলাদেশে চলতি বছরের ডিসেম্বরে বা আগামী বছরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর সামরিক স্বৈরশাসকরা সব নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখন নির্বাচন ছিলো একটি ‘খেলা’। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ যখন তার অনুপস্থিতিতে তাকে সভাপতি নির্বাচিত করেছিলো তখন তিনি দেশে ফিরতে পেরেছেন। তারপর থেকে আমরা গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম শুরু করি। আমাদের সংগ্রাম ছিল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা। আমরা আমাদের প্রত্যেকটি মেয়াদে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করেছি। বিরোধী দল বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তোলেনি। তখন কী ফল হয়েছিলো? যে দলটি (বিএনপি) এখন প্রশ্ন তুলছে তারা সংসদে ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ২৯ পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণই ঠিক করবে কে দেশ চালাবে। তিনি বলেন, এটা জনগণের ক্ষমতা, আমি জনগণের ক্ষমতা নিশ্চিত করতে চাই। আমি এখানে ক্ষমতা দখল করতে আসিনি। বরং আমি আমাদের জনগণকে ক্ষমতায়িত করতে চাই। তিনি বলেন, তাদের (জনগণের) সরকার বেছে নেয়ার অধিকার থাকতে হবে। এক প্রশ্নের শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, এখন কিছু দল বলেছে তারা অংশ নেবে না। তারা কীভাবে অংশগ্রহণ করবে? কারণ তাদের আমলে দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের মানুষ কষ্ট পেয়েছে। তাদের সময়ে সন্ত্রাসী কর্মকা- বেড়ে যায়। সর্বত্রই ছিলো দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও শোষণ। তিনি আরো বলেন, তারা কখনো জনগণের কথা ভাবেনি। আমার দেশের জনগণের প্রতিদিন একবেলা খাবার পাওয়াই খুব কঠিন ছিলো। এমন ছিলো পরিস্থিতি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More