আগামী দুই সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আগামী দুই সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। জাহিদ মালেক জানান, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
তিনি বলেন, প্রতিদিন আক্রান্তের হার বেড়ে যাচ্ছে। ১১ দফা দেবার পরেও সাধারণ মানুষেরা কেউ তা মানছে না। এভাবে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকলে হাসপাতালের বেড খালি থাকবে না। স্কুলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আগামী ২ সপ্তাহ স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি বন্ধ থাকবে।
তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমে আসায় আমরা স্কুল-কলেজ, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করেছিলাম। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, স্কুল-কলেজে সংক্রমণের হার বেড়ে যাচ্ছে। এটা আশঙ্কাজনক। এমন অবস্থায় আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে আগামী দুই সপ্তাহ আমরা স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, পরে পরিস্থিতি বুঝে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলমসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনান্য কর্মকর্তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও একই ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়ে শুক্রবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সেখানে বলা হয়েছে, কোনো সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়, রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে একশ জনের বেশি মানুষের সমাবেশ করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যারা যোগ দেবেন, তাদের অবশ্যই টিকা সনদ অথবা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করা পিসিআরে কোভিড টেস্টের রিপোর্ট দেখাতে হবে।

সরকারি, বেসরকারি অফিস এবং শিল্প কারখানায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকা সনদ নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

বাজার, শপিং মল, মসজিদ, বাস স্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেল স্টেশনসহ সাধারণ লোকসমাগমের স্থানে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।

স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে।

সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, “দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুই সপ্তাহ পরে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।”

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More