স্টাফ রিপোর্টার:গাজামুখী ত্রাণবাহী জাহাজ আটক ও মানবাধিকার কর্মীদের গ্রেফতারের ঘটনায় ইসরাইলের ন্যাক্কারজনক ভূমিকার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। একই সঙ্গে ত্রাণবাহী জাহাজগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে দলের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজায় প্রায় ৭০ হাজার নিরীহ মানুষ শহীদ হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, গাজায় দুর্ভিক্ষ ও রোগব্যাধি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জরুরি ত্রাণ না পৌঁছালে হাজার হাজার নারী-শিশুর মৃত্যু অনিবার্য হয়ে পড়বে।
বিবৃতিতে তিনি জানান, ইসরাইল ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র প্রায় সব ত্রাণবাহী নৌযান ও বহু মানবাধিকার কর্মীকে আটক করেছে। অথচ এই নৌযানগুলো গাজাবাসীর জন্য খাদ্য, পানি ও ওষুধ বহন করছিল। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে কাউকে বাধা দেওয়া যায় না। দখলদার ইসরাইল নৌযান ও মানবাধিকার কর্মীদের আটক করে মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ করেছে।
অধ্যাপক পরওয়ার আরও বলেন, তুরস্কসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইতোমধ্যে ইসরাইলের এই কর্মকাণ্ডকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ আখ্যা দিয়েছে এবং বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। তিনি অভিযোগ করেন, মূলত দখলদার ইসরাইল ফিলিস্তিনে জাতিগত নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছে। আন্তর্জাতিক জলসীমায় ত্রাণবাহী জাহাজে বাধা দিয়ে তারা মানবতার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপরাধ করেছে।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ক্ষুধার্ত গাজাবাসীর প্রাণ বাঁচাতে ত্রাণবাহী জাহাজগুলো যাতে নিরাপদে গাজায় পৌঁছাতে পারে, সে জন্য ইসরাইলের ওপর অবিলম্বে চাপ সৃষ্টি করতে হবে। একই সঙ্গে আটক মানবাধিকার কর্মীদের নিরাপত্তা ও নিঃশর্ত মুক্তি নিশ্চিত করাও জরুরি।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.