মানবিক করিডোরের নামে দেশকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবেন না : ড. ইউনূসকে শামসুজ্জামান দুদু

স্টাফ রিপোর্টার: ড. মো. ইউনূস এর উদ্দেশ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আমাদের বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ দেশ। সেই দেশটাকে মানবিক করিডোরের নামে যুদ্ধের মধ্যে নিয়ে যাওয়া এটি বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। এদিকে না গিয়ে দেশকে রক্ষা, যুদ্ধ মুক্ত ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে রাখাইনে মানবিক করিডোর ও চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের দেয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। দুদু বলেন, আমাদের বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ দেশ। সেই দেশটাকে মানবিক করিডোরের নামে যুদ্ধের মধ্যে নিয়ে যাওয়া এটি বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। আমি ড. ইউনুসকে অনুরোধ করবো, এদিকে না এগিয়ে আপনি বরং বাংলাদেশের মানুষকে কিভাবে রক্ষা করা যায়, যুদ্ধমুক্ত রাখা যায় এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা যায় তার ব্যবস্থা করুন। যে নির্বাচন আমরা ১৫-১৬ বছর ধরে পাইনি, কিন্তু নির্বাচন গেছে। আজকের যে প্রজন্ম, যাদের বয়স ২৫-৩০ বছর; তারা একটা নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি। সেই ভোটের ব্যবস্থা করেন এবং মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের একটা বন্দর নিয়ে কথা উঠেছে, জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক যিনি বর্তমান সরকার প্রধানের সহকারী উপদেষ্টা তিনি বলেছেন কারো সাথে কোন আলোচনা করার প্রয়োজন নাই। তার এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, এই সরকার শুধুমাত্র একটি জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করে তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) যাবে। এটা কোনো রেগুলার সরকার নয়, নির্বাচিত সরকার নয়। অনেক উপদেষ্টা বলেছিলেন, তারা নির্বাচিত। আত্মপ্রতারণা করা ঠিক হবে না। দেশের জনগণ আপনাকে (ড. ইউনুস) সম্মানের সাথে বসিয়েছে, সম্মান রক্ষা করে জনগণের সেন্টিমেট অনুধাবন করে নির্বাচিত সরকারের কাছে দিয়ে যাবেন। তিনি বলেন, এদেশের খেটে খাওয়া মানুষ, কামার-কুমার, রিকশা চালক, কুলি-মজদুর, কৃষক-শ্রমিক তাদেরকে এতো অবহেলা করা উচিত নয়। তাদের রক্তে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই বাংলাদেশে যুদ্ধের সময় ভদ্রলোকের সংখ্যা ছিলো কম। গ্রামের কৃষক-শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষ যুদ্ধ করেছিলো। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান যেমনিভাবে তরুণ ও শিক্ষার্থীরা করেছে। তেমনিভাবে মুক্তিযুদ্ধেও তরুণ এবং শিক্ষার্থীরা ছিলো। সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, প্রতিবেশী দেশের যে ঘৃণ্য কৌশল, তাদের যে বিরোধিতা এবং ফ্যাসিস্টকে আশ্রয় দেয়া, তাদের সম্বন্ধে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা মনে করি, আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী এবং প্রতিটি রাজনৈতিক দল ও খেটে খাওয়া মানুষ সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে রক্ষা করবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে নাগরিক সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি মো. শামিম কায়সার লিংকন, কৃষকদলের পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক রাজি, সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদি, জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকন সহ প্রমুখ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More