সঙ্গীতের শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ: যা বললেন শিল্পী রাজিব

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্মের শিক্ষক নিয়োগ না দিয়ে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্তের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন একজন ইসলামি বক্তা। বিষয়টি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মত দেন দেশের বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষ। সংস্কৃতিকর্মীরাও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে ক্লোজআপ তারকা মিজান মাহমুদ রাজীব ফেসবুকে লিখেছেন, জামায়াত ক্ষমতায় এলে গানের মানুষ কী করে খাবে?

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজীব ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ওই পোস্টে তিনি লেখেন, আগামী নির্বাচনে যদি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসে, তাইলে আমরা যারা গানের মানুষ তারা কী করে খাব?

এর আগে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) তিনি লিখেছিলেন, তুরষ্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, দুবাই, কাতারের মতো উন্নত মুসলিম দেশগুলোতে সরকারিভাবে বাচ্চাদের ধর্মের পাশাপাশি সংগীত শেখানো বাধ্যতামূলক বা অপশনাল। কোথাও সংগীতকে ধর্মের শত্রু বানানো হয়নি। আমাদের শিশুদের মানসিক বিকাশ পরিপূর্ণ হওয়ার জন্য ধর্মের পাশাপাশি সংগীত ও কলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনার শিশুর মানসিক বিকাশ নিশ্চিত করুন।

ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারি সম্প্রতি ফেসবুকে লিখেছেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, দীর্ঘদিনের দাবি থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিক স্তরে ইসলাম ধর্মের শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে। অথচ সংগীতের মতো একটি অতিপ্রাকৃতিক বিষয়ের জন্য আলাদা শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যা আমাদের মতে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং জনমতবিরোধী।

তিনি আরও লিখেছিলেন, এই দেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও প্রাথমিক স্তরে ইসলাম শিক্ষার জন্য কোনো বিশেষায়িত শিক্ষক নেই। অন্যদিকে সংগীতের জন্য নির্দিষ্ট পদ সৃষ্টি হচ্ছে। এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমরা সন্তানদের বিশ্বাস ও ধর্মীয় মূল্যবোধ সুরক্ষিত দেখতে চাই।

উল্লেখ্য- সম্প্রতি সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালায় পরিবর্তন এনে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার জন্য আলাদা দুটি পদ সৃষ্টি করেছে। আগে এসব দায়িত্ব অন্য শিক্ষকেরা পালন করতেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More