২০২৬ সালের ‘হলিউড ওয়াক অব ফেম’-এ নির্বাচিত হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। তিনিই প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি মোশন পিকচার বিভাগে ‘হলিউড ওয়াক অব ফেম ক্লাস ২০২৬’-এ সম্মানিত হলেন। এ তালিকায় নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়েছেন অভিনেত্রী। গত বুধবার (২ জুলাই) এ তালিকা প্রকাশ করলে সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় এ নিয়ে বিতর্ক। দীপিকা নয়, আরও একজন ভারতীয় ৬০ বছর আগে হলিউডের ওয়াক অব ফেমে জায়গা পেয়েছিলেন । কিন্তু কে তিনি?
দীপিকা পাড়ুকোনের আগে এ সম্মান পেয়েছিলেন একজন ভারতীয়। ১৯৬০ সালে হলিউড ওয়াক অফ ফেম-এর প্রথম ব্যাচে ছিল তার নাম। তিনি হলেন সাবু দস্তগীর। এই নামটি হয়তো ভারতীয় দর্শকদের কাছে খুবই অপরিচিত। কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন হলিউডের অন্যতম তারকা।
১৯২৪ সালে দক্ষিণ ভারতের মাইসোরে জন্মগ্রহণ করেন সাবু দস্তগীর। জন্মসূত্রে তিনি ছিলেন একজন মাহুতের ছেলে। ১৯৩৮ সালে ‘দ্যা ড্রাম’ সিনেমায় অভিনয় করার সুবাদে তিনি চলে যান হলিউডে। ১৯৪০ সালে ‘দ্যা থিফ অব বাগদাদ’ সিনেমায় আবু চরিত্রে অভিনয় করে রাতারাতি তারকা বনে যান সাবু।
শুধু তাই নয়, ১৯৪৪ সালে তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধে ফেরার পর আমেরিকার নাগরিকত্ব তিনি পেয়ে যান ঠিকই, কিন্তু যে জনপ্রিয়তা তিনি অর্জন করেছিলেন চলচ্চিত্র জগতে, সেটি আর ফিরে পান না তিনি।
১৯৫৭ সালে ‘মাদার ইন্ডিয়া’ সিনেমায় অভিনয় করার অফার পেয়েছিলেন এ অভিনেতা, কিন্তু কাজের অনুমতি পত্র পাননি সাবু। পরে এই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুনীল দত্ত। একজন ভারতীয় হয়েও কোনো ভারতীয় সিনেমায় অভিনয় করেননি সাবু দস্তগীর। ১৯৬৩ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
আজকের সময়ে দাঁড়িয়েও যেখানে টলিউড এবং বলিউডের অভিনেতা অভিনেত্রীরা স্বপ্ন দেখেন হলিউডের কাজ করার জন্য, সেখানে এ অভিনেতা প্রথম থেকেই কাজ করেছিলেন হলিউডে। ছোটখাটো চরিত্র নয়, একেবারে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে হলিউডে আলাদা জায়গা তৈরি করেছিলেন সাবু দস্তগীর।
উল্লেখ্য, হলিউড চেম্বার অব কমার্সের পক্ষে অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের পাশাপাশি বিশ্বের নানা প্রান্তের বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সে তালিকায় দীপিকা ছাড়াও আছেন হলিউড অভিনেত্রী এমিলি ব্লান্ট, ফরাসি অভিনেত্রী কোটিলার্ড, কানাডিয়ান অভিনেত্রী র্যাচেল ম্যাকঅ্যাডামস, ইতালিয়ান অভিনেতা ফ্রাঙ্কো নিরো এবং সেলিব্রিটি শেফ গর্ডন রামসে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.