চুয়াডাঙ্গায় বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু

চুয়াডাঙ্গায় সরকারিভাবে বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলা খাদ্যগুদাম প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার এই ধান সংগ্রহের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেজাউল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলী হাসান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাসরুর, মার্কেটিং অফিসার সহিদুল ইসলাম ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান লিটু।
আরো উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি শেখ আব্দুল্লাহ, চুয়াডাঙ্গা সদর খাদ্যগুদাম ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক, চুয়াডাঙ্গা সদর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম রাসেল, কৃষক আনোয়ার হোসেন, চুয়াডাঙ্গা সাতগাড়ির চালকল মালিক হাসানুজ্জামান প্রমুখ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার ৩১০ মেট্টিকটন ধান, ২৩৩ মেট্রিকটন গম এবং চালকল মালিকদের কাছ থেকে ৭ হাজার ৬০৫ মেট্ট্রিক টন চাল ক্রয় করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেজাউল ইসলাম বলেন, চুয়াডাঙ্গায় ৪ উপজেলায় চলতি মৌসুমে কৃষকদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার ৩১০ মেট্রিকটন ধান ও ২৩৩ মেট্রিকটন গম ক্রয় করা হবে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা থেকে এক হাজার ৮ মেট্রিকটন ধান, দামুড়হুদা উপজেলা থেকে এক হাজার ৪২৮ মেট্রিকটন ধান ও ৫০ মেট্রিকটন গম, আলমডাঙ্গা উপজেলা থেকে এক হাজার ৮৪৫েে মট্রিকটন ধান ও আলমডাঙ্গা উপজেলা থেকে ১৫৯ মেট্্িরকটন গম, জীবননগর উপজেলা থেকে এক হাজার ২৯ মেট্টিক টন ধান ও জীবননগর উপজেলা থেকে ২৪ মেট্টিক টন গম সংগ্রহ করা হবে।
এছাড়া, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৬০ জন চালকল মালিকের কাছ থেকে এক হাজার ১৯১ মেট্টিকটন, আলমডাঙ্গা ৪৯ জন চালকল মালিকে থেকে এক হাজার ৬৫০ মেট্রিকটন, দামুড়হুদা উপজেলার ৩১ জন চালকল মালিকের থেকে ৯৪৭ মেট্রিকটন ও জীবন নগর ৫৭ জন চালকর মালিকের কাছ থেকে তিন হাজার ৮১৭ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ করা হবে। ধান প্রতি কেজি ২৬ টাকা দরে, চাল ৩৬ টাকা কেজি দরে ও গম ২৮ টাকা কেজি দরে ক্রয় করা হবে।
অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হবে। কোনো কৃষক যেন ধান বিক্রি করতে এসে হয়রানির শিকার না হয় সেটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। চালকল মালিকদের কাছ থেকে কোনো খারাপ চাল কেনা হবে না। এ ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা হবে ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More