আফগানিস্তানকে সতর্ক করে শাহবাজ শরিফের হুঁশিয়ারি

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনীর শনিবার দেশটির বান্নুতে উচ্চ পর্যায়ের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বৈঠকে অংশ নেন এবং সম্প্রতি দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে শহীদ হওয়া সেনাদের জানাজায় উপস্থিত হন।

নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে বান্নুর নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পূর্ণ ও কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে কোনো দ্ব্যর্থহীনতা থাকা উচিত নয়।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে সামা টিভি।

শহীদ সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উভয় নেতা তাদের জানাজায় উপস্থিত হন এবং বান্নুর সেনা হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান। তারা আহতদের দেশের পক্ষ থেকে পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার আশ্বাস দেন।

শাহবাজ শরিফ আফগানিস্তানকে সরাসরি আক্রমণ করে বলেন, পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মূল নেতৃত্ব ও সুবিধাজনক ব্যক্তিরা সীমান্তের ওপারে অবস্থান করছে। তিনি বলেন, আফগান নাগরিকরা সীমান্ত অতিক্রম ও সাম্প্রতিক হামলায় জড়িত।

কাবুলকে সতর্ক করে শাহবাজ শরিফ বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়তে হলে বিদেশি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অবিলম্বে থামাতে হবে।

শাহবাজ শরিফ ভারতকেও পাকিস্তানে সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক সমর্থনের দায়ী করেন। তিনি বলেন, ভারতীয় প্রোক্সিগুলো সাম্প্রতিক হামলার পেছনে রয়েছে এবং এ ধরনের কার্যকলাপে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।

পাকিস্তান সেনা, বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখারার মানুষদের সহমর্মিতা ও ঐক্যকে প্রশংসা করে শাহবাজ শরিফ বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী দেশ ও শান্তি ভঙ্গের হুমকি দিচ্ছে এমন সন্ত্রাসীদের নিশ্চিহ্ন করবে।

তিনি তাৎক্ষণিক প্রশাসনিক ও আইনি পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

পাকিস্তানের আইএসপিআর জানিয়েছে, ১০–১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে খাইবার পাখতুনখারায় নিরাপত্তা বাহিনী ভারত সমর্থিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের ৩৫ সন্ত্রাসী নিষ্ক্রিয় করেছে। অভিযানে ১২ জন সেনা শহীদ হয়েছে।

বজাউর জেলায় অভিযান চলাকালে ২২ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়। দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে আলাদা অভিযানে আরও ১৩ জন সন্ত্রাসী ধ্বংস করা হয় এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। তথ্যসূত্র নিশ্চিত করেছে, আফগান নাগরিকরাও এই হামলায় জড়িত ছিল।

পাকিস্তান-অফগান সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আফগানিস্তানের ভূমিকা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এখন আরও চাপের মুখে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More