ইরান বেশ কয়েকটি দেশে অস্ত্র তৈরির কারখানা গড়ে তুলেছে। এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ। তবে কোন কোন দেশে এসব কারখানা স্থাপন করা হয়েছে, তা তিনি জানাননি।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাসিরজাদেহ বলেন, ‘আমরা কয়েকটি দেশে অস্ত্র কারখানা স্থাপন করেছি। তবে এখনই নাম প্রকাশ করছি না।’
তিনি বলেন, ‘গত এক বছরে ইরান নতুন ধরনের উন্নত ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য ওয়ারহেড পরীক্ষা করেছে।’
এমন সময়ে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই মন্তব্য এল, যখন বৃহস্পতিবার ইরানের নৌবাহিনী ওমান উপসাগর ও উত্তর ভারত মহাসাগরে বৃহৎ সামরিক মহড়ায় সমুদ্রপৃষ্ঠের লক্ষ্যবস্তুতে ক্রুজ মিসাইল পরীক্ষা চালায়। এর আগে গত মাসে ইরান ও রাশিয়া যৌথভাবে কাসারেক্স ২০২৫ নামে মহড়া করেছিল কাস্পিয়ান সাগরে।
ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাবি করেন, গত জুনে ইসরাইলের সঙ্গে সংঘাত যদি ১৫ দিন স্থায়ী হতো, তবে শেষ তিন দিনে ইসরাইল কোনো ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে পারত না। এ কারণেই ইসরাইল শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ইরান এ যুদ্ধে তাদের সবচেয়ে নিখুঁত ক্ষেপণাস্ত্র ‘কাসেম বাসির’ ব্যবহারই করেনি। এ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা প্রায় ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার, সঙ্গে উন্নত গাইডেন্স ও প্রতিরোধ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কার্যকর প্রযুক্তি রয়েছে।
নাসিরজাদেহ বলেন, যুদ্ধের শুরুর দিকে প্রায় ৪০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র আটকানো হলেও শেষ দিকে ৯০ শতাংশ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। তার দাবি, এটি প্রমাণ করে ইরানের অভিজ্ঞতা যেমন বাড়ছিল, তেমনি ইসরাইলেল প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ক্রমেই দুর্বল হচ্ছিল।
তবে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দাবি, ১২ দিনের যুদ্ধে তারা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রতিহত করার সাফল্যের হার ছিল প্রায় ৯০ শতাংশ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.