বেলুচিস্তানে ভারতীয় প্রক্সি জঙ্গিগোষ্ঠীর ১৪ সদস্য নিহত

স্টাফ রিপোর্টার:পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের খুজদার জেলার জেহরি এলাকায় অভিযানে ভারতঘনিষ্ঠ জঙ্গি সংগঠন ‘ফিতনা আল-হিন্দুস্তান’-এর অন্তত ১৪ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।

সূত্র জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এতে ১৪ সন্ত্রাসী নিহত হওয়ার পাশাপাশি অন্তত ২০ জন জঙ্গি আহত হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা এই অভিযানের প্রশংসা করে বলেন, এর ফলে এলাকায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে। নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, ফিতনা আল-হিন্দুস্তান গোষ্ঠীর অবশিষ্ট সদস্যদের নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।

কয়েকদিন আগেই বেলুচিস্তানের শেরানি জেলায় একই ধরনের এক অভিযানে সাতজন ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছিল পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী। দেশটির সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআর জানিয়েছিল, ওই অভিযানটি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়, যেখানে ‘ফিতনা আল-খারেজ’ ও নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)’র সদস্যদের টার্গেট করা হয়। তীব্র গোলাগুলির পর সাতজন ভারতীয় পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত জঙ্গি নিহত হয়।

অন্যদিকে, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে—২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই–সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানে সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে ৪৬ শতাংশ। সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (সিআরএসএস) জানিয়েছে, এ সময়ে দেশজুড়ে ৩২৯টি সহিংস ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ৯০১ জন নিহত ও ৫৯৯ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে সাধারণ নাগরিক, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং জঙ্গিরা রয়েছে।

২০২৫ সালের এই নয় মাসেই পাকিস্তানে মোট ২ হাজার ৪১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা প্রায় ২০২৪ সালের পুরো বছরের (২ হাজার ৫৪৬ জন) সমান।

নিহতদের মধ্যে ৫৭ শতাংশই ছিল জঙ্গি বা অপরাধী গোষ্ঠীর সদস্য। বাকি ৩৮৫ জন ছিলেন সাধারণ মানুষ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। এর মধ্যে ২১৯ জন সাধারণ নাগরিক এবং ১৬৬ জন নিরাপত্তাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।

সহিংসতার সবচেয়ে বেশি ঘটনা ঘটেছে খাইবার পাখতুনখাওয়া (কেপি) ও বেলুচিস্তান প্রদেশে—যাদের উভয়েরই আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে। এ দুই অঞ্চল মিলেই দেশের মোট সহিংসতার ৯৬ শতাংশের জন্য দায়ী।

কেপি প্রদেশে সর্বাধিক প্রাণহানি ঘটেছে—মোট ৬৩৮ জন, যা দেশের মোট নিহতের প্রায় ৭১ শতাংশ। বেলুচিস্তানে প্রাণহানি হয়েছে ২৩০ জনের। দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে কেপি ও বেলুচিস্তানে সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা যথাক্রমে ৬৪ ও ২১ শতাংশ বেড়েছে বলে জানায় সিআরএসএস।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More