স্টাফ রিপোর্টার: বিগত দিনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা, বেগম খালেদা জিয়া ও নেতাকর্মীদের জেলে পাঠিয়ে বিএনপিকে জনবিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিলেন। স্বৈরশাসক বিএনপিকে নিঃশেষ করতে গুম, খুন, জুলুম, অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে ধামরাই উপজেলার সদর ইউনিয়নের শরীফবাগ শরীফুন্নেছা মহিলা মাদ্রাসার মাঠে বিএনপির সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কর্মসূচি এবং দেশ ও গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির দ্বারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অশালীন প্রচারণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিগত দিনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের দিনের পর দিন, মাসের পর মাস জুলুম, নির্যাতন ও অত্যাচার করেছেন। সেই মামলায় আমি ও আমাদের নেতাকর্মীরা জেল খেটেছি। আপনারা দেখেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার হুকুমে আমাদের দেশের স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের উপর নির্বাচনের সময় গুলি চালিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন। আপনারা দেখেছেন, রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ নিজের বুক পেতে দিয়েছিলেন। ঘাতকরা সেই বুকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে আবু সাঈদকে হত্যা করেছে। কী দোষ ছিল মুগ্ধের, সে বলেছিল ‘পানি লাগবে পানি’, তাকেও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এখনো তাদের কথা ভুলিনি।
তিনি আরও বলেন, বিগত ১৬ বছরে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্রের মাঠ প্রস্তুত হয়েছিল, সেই পটভূমির উপর জুলাই আন্দোলন বিজয় লাভ করেছে। আপনারা যখন অপপ্রচার ও কুৎসা রটিয়েছেন, তখন বিএনপি আহত ও নিহত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে।
আমি আপনাদের বলছি, দলের অভ্যন্তরে অথবা অন্য যে কোনো মানুষের সঙ্গে কেউ কোনো ধরনের সহিংস আচরণ করবেন না। যদি কেউ সন্ত্রাসীমূলক আচরণ করে, তাকেও শাস্তির আওতায় আনা হবে।
আমাদের দলের নামে যারা দুর্বৃত্তপনা করেছে, অনৈতিক কর্মকাণ্ড করেছে, মানুষকে বিরক্ত করেছে, মানুষের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করেছে, তাদের আমরা রেহাই দেইনি, দিচ্ছিও না। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিনিয়ত সারা দেশে দলের নামে কোথায় কী ঘটছে, কারা কী করছে, সব খবর রাখেন। কেউ খারাপ কিছু করলে সঙ্গে সঙ্গে তার ব্যবস্থা নিয়েছেন।
সমাবেশে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব তমিজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সুলতানা আহমেদ, বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কমিটির সদস্য গোলাম মাওলা শাহীন, ধামরাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. শামছুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.