সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী শারজাহ থেকে আসা ফ্লাইটের এক যাত্রীর কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের চালান আটক করা হয়েছে। চালানের মধ্যে রয়েছে ১০৫ পিস স্বর্ণের বার এবং গলিয়ে গোল আকৃতি করা ৪ পিস। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আটককৃত ব্যক্তির নাম হুসেন আহমেদ (২৫)। তিনি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বাসিন্দা।
বিমানবন্দর কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২৫২ ফ্লাইট বুধবার (২৮ আগস্ট) সকাল ৮টা ২১ মিনিটে শারজাহ থেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এনএসআই এবং শুল্ক গোয়েন্দার সদস্যরা চ্যালেঞ্জ করে প্রথম দফায় কাস্টমস স্ক্রিনিং করে হুসেন আহমেদের লাগেজে সন্দেহজনক কিছু না পেয়ে এনএসআই ফের চ্যালেঞ্জ অব্যাহত রাখে এবং বাংলাদেশ বিমানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা শাখার সহায়তায় নিরাপত্তা স্ক্রিনিং বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে পুনরায় স্ক্রিনিং করে যাত্রীর লাগেজে স্বর্ণের উপস্থিতি শনাক্ত করতে সক্ষম হন। পরে শনাক্তকৃত মালামাল ভেঙে স্বর্ণের চালান উদ্ধার করা হয়। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মো. সাজেদুল করিম। তিনি বলেন, ‘শারজা থেকে আসা বিমানের বিজি-২৫২ ফ্লাইটে অভিযান চালিয়ে হুসেন আহমেদ নামে এক যাত্রীর সঙ্গে থাকা ১৫ কেজি ৯১০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০৫ পিস স্বর্ণের বার এবং ৪টি গোল আকৃতির স্বর্ণের পিস রয়েছে।’ স্বর্ণের মূল্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এখনো দাম নির্ধারণ করা হয়নি। বাজার দর উঠানামা করে। তবে এখানে আনুমানিক ১৬ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ১২৮ টাকার স্বর্ণ রয়েছে।
এদিকে একাধীক সূত্র বলেছে, দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণের বড় বড় চালান দেশে আসে, চোরাপথে ভারতে পাচার হয়ে যায়। এ চক্রের সাথে রয়েছে যারা তাদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গার একজনের নাম উঠে আসছে ঘুরে ফিরে। ঢাকার একটি পত্রিকায় স্বর্ণের এ চালান কার তারও বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছে। মামলা হতে পারে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.