আম্পানে মেহেরপুরের ৬০ শতাংশ আম-লিচুর ক্ষতি

মেহেরপুর অফিস: বুধবার রাত পোনে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত মেহেরপুরের উপর দিয়ে বয়ে যায় আম্পান। বাতাসের গতিবেগ ছিলো ৬০ থেকে ৬৫ কিমি। মেহেরপুরে ফল ও উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে আম ও লিচুর। যা চাষের অর্ধেক। এ ছাড়ার জেলায় ৬ শতাধিক বাড়ি ঘর ভাঙচুর হয়েছে। দুর্গত হয়েছে ২১ হাজার মানুষ। টাকার অঙ্কে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা না গেলেও এর প্রভাবে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সদর উপজেলার রাধকান্তপুর গ্রামের মোশারফ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে আম বাগান কিনে ব্যবসা করে আসছেন। এ বছর সাতটি বাগান কিনে ব্যবসা করছেন। কয়েকদিনের মধ্যে আম ভেঙে বিক্রি করতেন। এর মধ্যে অম্পানের তার শেষ হয়ে গেছে বলে জানান। তার ৫টি আম বাগানের প্রায় ৭৫ শতাংশ আম পড়ে গেছে। যেগুলো এখন আচারের জন্য ২-৩ টাকা কেজি দরে আড়তদারদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গনি জানান, জেলার তিন উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৬২০টি পরিবার আংশিক ও ২৫০ পরিবার সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অম্পানে দুর্গত মানুষের সংখ্যা ২১ হাজার। পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাদের পূনর্বাসনের জন্য তালিকা তৈরির কাজ চলছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ আমচাষীদের পূনর্বাসন করার প্রক্রিয়া চলছে। মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কামরুল হক মিঞা জানান, জেলায় এ বছর ২ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আম এবং ৬৩০ হেক্টর জমিতে লিচু, এক হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে কলার আবাদ করেছেন চাষীরা। এর মধ্যে আম -লিচু ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কলা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে ২০ শতাংশ। এ ছাড়া ৯৮ শতাংশ ধান হার্ভেষ্টিং হয়ে যাওয়ায় ধানের তেমন ক্ষতি হয়নি। ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের হিসাব নিকাশ করে খামারবাড়িতে পাঠানো হবে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More