করোনা জয় করেছেন ম্যাজিস্ট্রেট অর্ণব

স্টাফ রিপোর্টার: রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন সাধারণ মানুষের জন্য। নিয়মিত মোবাইল কোর্ট, বাজার মনিটরিং, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত, হোম কোয়ারান্টাইন এবং অফিস করতে হয়েছে করোনা ভাইরাস দুর্যোগ কালিন সময়ে। কখনও ভয় পায়নি করোনা কে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন করোনা ভাইরাসে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমজাদ হোসেন অর্ণব। নিজের আত্মবিশ্বাসের কারণে করোনাকে জয় করতে পরেছেন খুব সহজে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমজাদ হোসেন অর্ণব বলেন, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে সরকারি নির্দেশনা অনুসারে জেলার সাধারণ মানুষের জন্য কাজ শুরু করি। মোবাইল কোর্ট, বাজার মনিটরিং, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত, হোম কোয়ারান্টাইন এবং নিয়মিত অফিস করতে হয়েছে। দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তিনি অন্য সবার মত। দায়িত্ব পালনে ছিলেন অপোষহীন।
হঠাৎ করেই একদিন অনুভব করেন শরীরটা খারাপের দিকে যাচ্ছে, দেখা দিচ্ছে করোনার উপসর্গ। ১৪ মে সকালে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। ১৬ তারিখে জানতে পারেন করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। তারপর থেকেই ছিলেন হোম আইসোলেশনে। ২৩ মে ২য় বার করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করালে রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। তারপর ৩য় বার ২৮ মে সর্ব শেষ রিপোর্ট আসে নেগেটিভ।
তিনি আরও বলেন, করোনা জয়ের প্রথম হাতিয়ার হলো নিজের উপর নিজের আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। তারপর নিয়মিত একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা নিয়েছে। নিয়মিত বেশ কয়েকটি ওষুধ সেবন করার পাশাপাশি ভিটামিন সি ও ডি যুক্ত খাবার খেয়েছি। সাথে ছিলো গরম পানি।
৩৬তম বিসিএসে উত্তির্ণ হয়ে ২০১৮ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে যোগদান করেন। তার সাথে আরও দুজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিবানি সরকার ও খাইরুল ইসলাম। তারাও সুস্থ হয়েছেন।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, জেলা প্রশাসনের জন্য ভালো সংবাদ। কয়েক দিন পরেই আবার কাজে যোগদান করবেন তারা। করোনা থেকে বাঁচতে হলে নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। তাদেরকে আমি সর্বদা মানসিকভাবে সাপোর্ট দিয়েছি। সরকাার দায়িত্ব পালন ও সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে তারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আবার করোনাকে জয় করেছেন। চুয়াডাঙ্গায় করোনা প্রতিরোধে নানা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, জেলায় এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯০ জন নারী-পুরুষ। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩১ জন। আর মারা গেছেন ১ জন রোগী।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More