আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলোকিত মানুষ গড়ার অগ্রদূত, বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের ৮৫তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে গতকাল শুক্রবার বিকেলে আলমডাঙ্গা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে আয়োজিত হয় এক অনাড়ম্বর আলোচনা সভা। শহরের দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকার আলমডাঙ্গা ব্যুরো অফিস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জোটের সভাপতি রহমান মুকুল। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষক তাপস রশিদ, আলমডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন, আলমডাঙ্গা নাগরিক উন্নয়ন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম পিন্টু। আলোচনায় বক্তারা বলেন, “অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ কেবল একজন শিক্ষক নন, তিনি একটি আলোকবর্তিকা। তার হাত ধরে যে বই পড়ার আন্দোলন শুরু হয়েছিলো, তা আজ বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তিক অঞ্চলেও আলো ছড়াচ্ছে।” শরিফুল ইসলাম পিন্টু বলেন, “আমরা যারা সাহিত্য-সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে জড়িত, সায়ীদ স্যারের চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি ও স্বপ্ন আমাদের প্রতিদিন অনুপ্রাণিত করে।” সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম রোকন, জালাল উদ্দীন, সাংস্কৃতিক কর্মী রোমান হোসেন, কবির হোসেন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, “বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি স্বপ্নযাত্রাযার চালক অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। বই পড়া ও আলো ছড়ানোর যে আন্দোলন তিনি শুরু করেছিলেন, তা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়ুক এই হোক আজকের দিনে আমাদের শপথ।” অনুষ্ঠানে তাঁর কর্মময় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরে আলোচনা শেষে অধ্যাপক সায়ীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা নিবেদন করেন জোটের সদস্যরা। উল্লেখ্য, ১৯৪০ সালের এই দিনে কলকাতার পার্ক সার্কাসে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। পৈতৃক নিবাস বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানার কামারগাতি গ্রামে। তিনি শিক্ষকতা, সাহিত্য, সামাজিক আন্দোলন ও টেলিভিশনের উপস্থাপনাসহ নানা মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে আলোকিত করার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে চলেছেন। আলোচনার শেষে ‘আলোকিত মানুষ চাই’ এই সেøাগানে সাড়া দিয়ে বই পড়ার অভ্যাস গড়ার আহ্বান জানান আয়োজকেরা।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.