আবারও সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়তে চায় বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে এসব ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) এ নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠক হতে পারে বলে জানা গেছে।
দেশের ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এ দফায় সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, কোম্পানিগুলো তেলের দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেটা অনেক বেশি। প্রতি লিটারে ১০ টাকা বাড়ানো আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। ব্যবসায়ীদের এই প্রস্তাব পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সাধারণত এ ধরনের পর্যালোচনাগুলো করে থাকে। পর্যালোচনা শেষে ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে।
জানা গেছে, আগামী রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ভোজ্যতেল নিয়ে ব্যবসায়ীদের একটি সভা রয়েছে।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছেন সেটা আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক বেশি। এটা আমরা পর্যালোচনা করছি, তারপর তাদের সঙ্গে সভা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ১ হাজার ২০০ ডলার ছুঁয়েছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে ১৮-২০ শতাংশের মতো তেলের দাম বেড়েছে। দাম বৃদ্ধির প্রবণতা রয়েছে পাম অয়েলেরও। যে কারণে এই দাম সমন্বয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১২ আগস্টের প্রথম ভাগে প্রতি লিটার পাম তেলের দাম ১৯ টাকা কমিয়ে ১৫০ টাকা নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়। এরও আগে গত ১৩ এপ্রিল সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত ১৫ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে সয়াবিন, সানফ্লাওয়ার, পাম ও ভুট্টার তেল আমদানিতে এক শতাংশ উৎসে কর বসিয়েছে। যা ভোজ্যতেলের দামে প্রভাব ফেলছে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.