কোটচাঁদপুরে ফসলের সাথে এ কেমন শত্রুতা

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি: চাচা ভাতিজির দ্বন্দে বিষে পুড়ল চাষির দেড় বিঘা ইরি কচুর ফসল। ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুর-সাবদারপুর সড়কের পাশের কুশকুড়ির মাঠে। এতে করে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে দাবি ওই চাষির। বিষয়টি নিয়ে গতকাল সোমবার থানায় জিডি করেছেন তিনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, কোটচাঁদপুর-সাবদারপুর সড়কের পাশের কুশকুড়ির মাঠ এটি। শাহজামাল খান এ মাঠের ২ বিঘা জমি কিনেছেন বাবু খান ও তামিমা তৈয়ব্যা খানের কাছ থেকে। এরপর থেকে তিনি ভোগদখল করে কচুর চাষ করেছেন। যা গেল ২৬-০৬-২৫ তারিখে তামিমা খানের নির্দেশে ওই জমিতে ঘাস পোড়ানো বিষ প্রয়োগ করা হয় যার ফলে পুড়ে গেছে সব কচু গাছ। যাতে করে ওই চাষির পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
ভুক্তভোগী চাষি শাহজামাল খাঁন বলেন, আমি বাবু খান ও তাঁর ভাজিজি তামিমা তৈয়ব্যা খানের কাছ থেকে ২ বিঘা জমি কিনে দেড় বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছি। বর্তমানে ওই জমিতে আমি ইতি কচুর চাষ করেছি। তারা তাদের পারিবারিক দ্বন্দে তামিমা তৈয়ব্যা খান লেবার দিয়ে আমার কচুর জমিতে বিষ প্রয়োগ করেন। এতে করে আমার দেড় বিঘা জমিতে থাকা কচুর গাছ পুড়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে গতকাল সোমবার থানায় জিডি করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আপনার সঙ্গে ওনাদের কোন শত্রুতা আছে কি, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, না তাদের সঙ্গে আমার কোন শত্রুতা নাই। তারা তাদের পারিবারিক দ্বন্দ আমার উপর প্রয়োগ করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুস ছামাদ বলেন, ওইদিন আমি জমিতে কাজ করছিলাম। হঠাৎ স্প্রে মেশিন নিয়ে দুপুরে ২/৩ জন পুরুষ ও একজন নারী আসেন। এরপর তারা কচুর জমিতে স্প্রে করতে থাকেন। তবে আমি তাদের নাম পরিচয় জানিনা। তামিমা তৈয়বা খান বলেন, বাবু খান আমার চাচা। চাচা আমাদের কাছ থেকে ওই জমি লিজ নিয়েছিল। জানতে পারি তিনি তাঁর অংশের জমি বিক্রি করেছেন মনিরুল ইসলাম খানের কাছে। আর দখল দিয়েছেন আমাদের অংশের জমি। বিষয়টি বর্তমান জমির মালিকানা দাবিদারদের বলেছি জমিটি ছেড়ে দিতে। এরপরও তারা জমি ছেড়ে না দিয়ে একের পর এক চাষ করেই যাচ্ছেন। এ কারনে কচুর ক্ষেতে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আর আমি শাহজামাল খান কে চিনি না। ওনার সঙ্গে আমার কোন লেনদেনও নাই। আমি মনিরুল ইসলাম খান কে চিনি।
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, ভুক্তভোগী থানায় জিডি করেছেন। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More