চুয়াডাঙ্গার বড়শলুয়ায় স্বামী পরিত্যক্তা নারীর আত্মহত্যা : দাফনে বাধা দেয়ার অভিযোগ

গড়াইটুপি প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার বড়শলুয়া গ্রামে স্বামী পরিত্যক্তা মেঘলা খাতুন নামের এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। গত বুধবার সকালের দিকে পোরাডান নামক বিষ খেয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হলে সেখানে চিকিসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রাম্য কবরস্থানে দাফন করতে গেলে বাধা প্রদান করার অভিযোগ ওঠে একই পাড়ার মন্টুর বিরুদ্ধে।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বড়শলুয়া বসতিপাড়ার কামাল হোসেনের মেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা এক সন্তানের জননী মেঘলা খাতুন (২২) মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। গত বুধবার সকালের দিকে তিনি বিষপান করেন। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আইনী প্রক্রিয়া শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রামে লাশ নিয়ে আসা হয়। পরে কবরস্থ করতে চাচাসহ কয়েকজন মিলে মহিষতলা গ্রাম্য কবরস্থানে কবর খুড়তে গেলে পূর্ব শত্রুতার জেরে তাদেরকে বাধা সৃষ্টি করে একই গ্রামের মৃত সোবারেক মহুরীর ছেলে মন্টু হোসেন। এ বিষয়ে মেয়ের চাচা জামাল হোসেন বলেন, আমরা কয়েকজন মিলে মন্টুর আপন চাচার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে কবর খুড়তে যান। কিন্তু পূর্ব দ্বন্দ্বের কথা মনে করিয়ে দিয়ে আমাদের বাধা দেয় মন্টু হোসেন। পরে আমরা গ্রামের নতুন কবরস্থানে মেয়ের দাফনকাজ করি। এ বিষয়ে মন্টু হোসেন বলেন ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি কবরস্থান কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারির অনুমতি নিতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা অনুমতি না নিয়ে চলে যায়। এখন তারা মিথ্যা রটাচ্ছে। এদিকে কবরস্থানে দাফনকার্যে বাঁধা সৃষ্টির বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মরদেহ নিয়ে এমন ঘটনা কারো কাম্য নয় বলে দাবি করেন গ্রামের সাধারণ জনগণ।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More