স্টাফ রিপোর্টার: এখন থেকে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার জন্য থানাতে যেতে হবে না, ঘরে বসেই যে কোনো স্থান বা যে কোনো সময়ে অ্যাপসের মাধ্যমে সকল প্রকার জিডি করতে পারবেন চুয়াডাঙ্গা জেলার পাঁচ থানার নাগরিকরা। গত পরশু রোববার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় উপস্থিত হয়ে একযোগে জেলার পাঁচটি থানায় ‘অনলাইন জিডি কার্যক্রম’ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার গোলাম মওলা (বিপিএম-সেবা)। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে জেলার পাঁচ থানায় এখন থেকে যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকে অনলাইনের মাধ্যমে সকল প্রকার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা যাবে। এখন নিখোঁজ ব্যক্তি সংক্রান্ত তথ্যসহ সর্বমোট ২৯টি অধর্তব্য অপরাধের বিষয়ে অনলাইন জিডি করতে পারবে মানুষ। এই অ্যাপটিতে সব তথ্য রয়েছে। এতে সহজেই মানুষ জিডি করতে পারবে, ফলে ভোগান্তিও কমবে। এখন পূর্ণাঙ্গ জিডি সেবা ঘরে বসেই পাওয়া যাবে, যার ফলে নাগরিক ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে। পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, “অনলাইন জিডি চালুর মাধ্যমে পুলিশি সেবাকে আরও আধুনিক ও সহজলভ্য করা হলো। এখন থেকে নাগরিকরা মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে সহজেই অভিযোগ জানাতে পারবেন। তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথেও সরাসরি অনলাইনে যোগাযোগ করা যাবে এবং জিডির সর্বশেষ অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে। তিনি আরও জানান, অনলাইন জিডির জন্য প্রয়োজন হবে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), সক্রিয় মোবাইল নম্বর, স্মার্টফোনে তোলা লাইভ ছবি। ব্যবহারকারীদের প্রথমে গুগল প্লে স্টোর থেকে ‘অনলাইন জিডি) অ্যাপটি ডাউনলোড করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর যেকোনো ধরনের জিডি যেমন হুমকি, নিখোঁজ, চুরি, উত্যক্তকরণ ইত্যাদি করা যাবে সহজেই। পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা জেলার নাগরিকদের উদ্দেশ্য বলেন, মিথ্যা, ভিত্তিহীন, অসম্পূর্ণ তথ্য সম্বলিত জিডির ক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না। এক্ষেত্রে প্রকৃত সত্য ঘটনা ও তথ্য সমৃদ্ধ সাক্ষ্য প্রমাণ সাপেক্ষে জিডি করার অনুরোধ জানান। এই অনলাইন জিডি কার্যক্রম জনগণের জন্য পুলিশি সেবা ডিজিটাল ও অধিকতর স্বচ্ছ করার ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। পুলিশ জানিয়েছে, এই সেবা নিতে ড়হষরহব এউ অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই হবে। রেজিস্ট্রেশন বা অনলাইন জিডি করতে সমস্যা হলে ০১৭৫৫-৬৬২৩৬৬ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে, যা ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। অনলাইন জিডির মাধ্যমে অভিযোগকারী তার অভিযোগের সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অ্যপস) কনক কুমার দাস, সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান, ডিআইও-১ সাইফুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজিব হাসান কচি প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.