জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ছোবলে ক্ষয়ক্ষতি

 

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নে সুপার সাইক্লোন ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে ল-ভ- হয়ে পড়েছে। গত বুধবার বিকেল থেকে দীর্ঘ ৯ ঘন্টা অবিরাম বর্ষণ ও তীব্র ঝড়ে এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাকৃতির এ তা-বে বিদ্যুত, ঘরবাড়ি, আম, জাম, পেয়ারা, লিচু, কলা, কাঁঠাল, মুগ, তিল, পাট, ধান, শাক-সবজী ও গাছপালা ভেঙে ও উপড়ে পড়ে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাঁকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ এলাকায় টিনের ঘরবাড়ি ও দোকানঘর ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। অনেকে গৃহহীন হয়ে পড়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসাধারণকে দূর্যোগের আগাম পূর্বাভাস দিয়ে আন্দুলবাড়িয়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হলেও কোনো লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে দেখা যায়নি। টিনের আঘাতে হারদা গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন (৪০) রক্তাক্তভাবে আহত হয়েছেন। তাকে গত বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী হাসপাতালে রেফার করেছেন। প্রবল ঝড়ে আনছারবাড়িয়া রেলস্টেশনের সন্নিকটে একটি শতবছর বয়সী গাছ রেললাইনের ওপর উপড়ে পড়েছে। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ইউনিয়নের একমাত্র প্রধান সড়ক সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়িয়া, আন্দুলবাড়িয়া-সরোজগঞ্জ, আন্দুলবাড়িয়া-কোটচাঁদপুরসহ গ্রামীণ সড়কগুলোর ওপর গাছ উপড়ে ও ডাল ভেঙে পড়ায় যানবহন ও যান চলাচল গতকাল দুপুর পর্যন্ত বিছিন্ন হয়ে পড়ে। পানি নিস্কাশনের অভাবে কোথাও কোথাও রাস্তার ওপর হাটু পানি ও অনেকে গৃহবন্দী হয়ে পড়ে। পুকুর, বিল ও বাওড় ভেসে গিয়ে মাছচাষিরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এলাকার নদী, খাল, বিল ও ডোবায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ও মাঠঘাট প্লাবিত হয়েছে। একদিকে করোনা সংক্রমণ ও অপরদিকে স্মরণকালে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা সম্ভব হয়নি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More