ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, জুলাই আন্দোলনের ডকুমেন্টারিতে প্রদর্শিত ছবিগুলো আমাদের অস্তিত্ব, আমাদের ইতিহাস। আমরা থাকবো না, কিন্তু এই ছবি আমাদের আত্মায় থেকে যাবে। আমাদের হৃদয়ের আর্কাইভের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রহশালায় এটা থাকবে। ফ্যাসিস্ট-স্বৈরাচারকে উৎপাটিত করার জন্য জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে সারা বাংলাদেশের অংশ হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ আমাদের দেশের ছাত্র জনতা কী বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে তা আজীবনকাল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা দেখতে পারবে। এটি আমাদের অস্তিত্ব, আমাদের আদর্শ, আমাদের প্রেরণা। জুলাই-আগস্ট বিপ্লব হলো আগামী দিনের চলার পথের দিকনির্দেশক। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সোমবার (৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের নিচে জুলাই আন্দোলনের ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী উদ্বোধনের পর ভিসি প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সুন্দর বাংলাদেশ গড়বো। ফ্যাসিবাদকে আর কখনো ফিরে আসতে দেবো না। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশ শাসিত হবে। সুখী-সমৃদ্ধ, বৈষম্যবিরোধী সমাজ বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হবে। এই ভিশন নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে ভাইস চ্যান্সেলর শিক্ষক-ছাত্রসহ বিশ্ববিদ্যালেয়ের সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন— প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. এমতাজ হোসেন, জুলাই ৩৬ হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. এ.কে.এম. শামছুল হক ছিদ্দিকী, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. রবিউল হক, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. শাহীনুজ্জামান, প্রফেসর ড. শহীদ মুহাম্মদ রেজওয়ান, প্রফেসর ড. এ. কে. এম. মতিনুর রহমান, প্রফেসর ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর ড. মো. আব্দুল বারী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন প্রফেসর মো. নাসির উদ্দিন খান।
পূর্ববর্তী পোস্ট
শ্বাসরোধে হত্যার পর পানিতে ফেলা হয় ইবির সাজিদকে : ভিসেরা রিপোর্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.