তাসকিনের বিরুদ্ধে জিডি সরিয়ে নিলেন তার বন্ধু

স্টাফ রিপোর্টার:দিনদুয়েক আগে জাতীয় দলের তারকা পেসার তাসকিন আহমেদের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর এক অভিযোগ ওঠে। তার এক বন্ধু মারধরের অভিযোগে জিডি করেন তার বিরুদ্ধে। যদিও তাসকিন শুরু থেকেই অভিযোগটি অস্বীকার করেছিলেন। এবার পারিবারিকভাবে বিষয়টি মীমাংসা করেছেন তাসকিন ও তার বন্ধু সিফাতুর রহমান সৌরভ। তাসকিনের বিরুদ্ধে করা জিডিও সরিয়ে নিয়েছেন তিনি।

বুধবার বিষয়টির মীমাংসা হয়েছে। অভিযোগকারী বন্ধু সিফাতুর রহমান সৌরভ গণমাধ্যমে বলেন, ‘দুই পরিবারের আলোচনার মাধ্যমে অভিযোগ তুলে নেওয়া হয়েছে। এখন এটা পারিবারিকভাবে মিউচুয়াল হয়েছে। দুই বন্ধুর মধ্যে একটি তর্কাতর্কি হয়েছিল, সেখান থেকেই (বিষয়টা) শুরু। আমি আগেই মাফ চাইনি, অভিযোগও তুলি নাই। আজকে পরিবারের সবাই মিলে মীমাংসা করলাম। অভিযোগ করার পর আমরা তাসকিন এবং তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তাসকিন ভাই আমার আত্মীয়ের আত্মীয় হন। আমাদের পরিবারও বসেছে। আজকে (বিষয়টি) শেষ হয়েছে। আগেই যদি সমাধান হতো, তাহলে তখনই হতো। কিন্তু তখন পরিবেশ সেরকম ছিল না।’

তাসকিনের ভবিষ্যৎ সাফল্য কামনা করলেও, সৌরভের কণ্ঠে বন্ধুর প্রতি ক্ষোভ স্পষ্ট। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, সে আমার ছোটবেলার বন্ধু। বাংলাদেশ দলের জন্য তার অনেক কিছু দেওয়ার আছে সামনে। আমি তাকে শুভকামনা জানাই। এখন আমি তাসকিন আহমেদকে একজন খেলোয়াড় হিসেবে জানি। (বন্ধু হিসেবে) আমি কিছুটা ট্রমাটাইজড। তাকে একটু সময় দিতে হবে।’

পরবর্তীতে সৌরভের খালা ঝুমা খান বলেন, ‘শেষে তারা ৪৮ ঘণ্টা সময় চেয়েছিল। আজকে সমাধান হয়েছে, বাবা-মা, চাচারা এসে মীমাংসা করেছে, অভিযোগ তুলে নেওয়া হয়েছে। তারা সময় নিয়েছে, পরে পারিবারিকভাবে সমাধান হয়েছে। (শুরুতে) এমন পরিস্থিতি ছিল না। নিরাপত্তার জন্যই অভিযোগ করা হয়েছিল। যাতে ভবিষ্যতে এমন কিছু আর না ঘটে। এটা একটি অঙ্গীকার। ভবিষ্যতে এমন কিছু আর হবে না। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। আমি সত্যের পাশে থাকতে পেরে গর্বিত।’

এর আগে তাসকিন অবশ্য বিষয়টি অস্বীকারই করেছিলেন। নিজের ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘এটা আসলে ভিত্তিহীন খবর। আমার আরেক বন্ধুর সঙ্গে আরেকজন বন্ধুর ঝগড়া হয়েছে। দুজনই আমার বন্ধু, সে আমার নাম উল্লেখ করেছে। কিন্তু আমার সঙ্গে তার কোনো ঝগড়া হয়নি। সবাইকে অনুরোধ করব গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না। এটা আমার, আমার পরিবার ও বন্ধুর জন্য অসম্মানজনক।’

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More