নির্বাচনের আগে যেখানে প্রয়োজন শুধু সেখানে রদবদল হবে দায়িত্ব পালন করবেন সেনাবাহিনীর প্রায় ৬০ হাজার সদস্য

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, নির্বাচনের আগে রদবদল হবে, কিন্তু সব জায়গায় যে রদবদল হবে, এমন কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি বলেন, ‘যেখানে প্রয়োজন শুধু সেখানে রদবদল হবে।’ গতকাল সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি। উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, নির্বাচনের আগে অপরাধের হটস্পটগুলো দ্রুত আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে চিহ্নিত করতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে কী ধরনের বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া যেতে পারে, সেটা খতিয়ে দেখার জন্যও বলেছেন। বিভিন্ন জেলার আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর একটা সিচুয়েশন রিপোর্ট যেন কেন্দ্রীয়ভাবে পাঠানো হয়— যাতে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বুঝতে পারেন যে, মাঠের পরিস্থিতি কী এবং সে অনুযায়ী যাতে পদক্ষেপ নিতে পারে-সেজন্য কেন্দ্রে রিপোর্ট পাঠানোর জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া আজকে প্রশাসনে রদবদল নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কীভাবে নির্বাচনের আগে রদবদল হবে-সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, প্রধান উপদেষ্টা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করেছেন। দুই ঘণ্টার বৈঠকে সামনে নির্বাচনের প্রস্তুতি কেমন এবং সে অনুযায়ী আমরা আরও কী কী কাজ করতে পারি, সেগুলো নিয়ে আলাপ হয়েছে। প্রথমত আলাপ হয়েছে সমন্বয় বাড়ানো নিয়ে। আর্মি, পুলিশ এবং তৃণমূল পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসন-এদের মধ্যে সমন্বয়ের কথা বারবার জোর দিয়ে বলা হয়েছে। স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে সমন্বয় বাড়ানোর জন্য জোর দিতে বলা হয়েছে। নির্বাচনের আগে পুলিশের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। পুলিশ মহাপরিচালক বলেছেন, সেপ্টেম্বর থেকে দেড় লাখ পুলিশের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। প্রেস সচিব বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচুর অপতথ্য অপপ্রচার শুরু হয়েছে। সামনে এটা আরও বাড়তে পারে। এটাকে সামনে রেখে ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টার-যেখানে দ্রুততার সঙ্গে এ অপতথ্যগুলো তুলে ধরতে পারবো, সেটা প্রতিষ্ঠার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এটা নিয়ে অনেক বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কয়েকদিন আগে পুলিশের যে কমান্ড সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে-প্রধান উপদেষ্টা সেখানে একটি মিডিয়া সেন্টার প্রতিষ্ঠা করার কথা বলেছেন। যাতে করে খুব দ্রুত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত যেকোনও তথ্য সংগ্রহ করা যায় এবং সেখানে যেন প্রতিদিনই সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো যায়। প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেছেন— পুলিশের কাজগুলো অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না, মিডিয়া সেন্টার না থাকার কারণে। পুলিশ অনেক ভালো ভালো কাজ করছে, অনেক জায়গায় হস্তক্ষেপ খুব দ্রুতই করছে, কিন্তু এ বিষয়গুলো অনেকের কাছে অজানা থাকছে।’ এসময় এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব জানান, নির্বাচনে সেনাবাহিনীর প্রায় ৬০ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সেনাবাহিনী ৫ আগস্টের পর থেকেই মাঠে দায়িত্ব পালন করছে। তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাও আছে। আমরা আশা করছি, এই নির্বাচনের সময় তাদের একটা বলিষ্ঠ ভুমিকা থাকবে, তারা মূলত স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য। অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার কাজ নিয়েও আলাপ হয়েছে। নির্বাচনের সময় গোয়েন্দা সংস্থার মধ্য কোনও ধরনের দুর্বলতা যেন না থাকে, সেজন্য বলা হয়েছে। এখেত্রেও যাতে সমন্বয় ভালো হয়, সেজন্য বলা হয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More