স্টাফ রিপোর্টার: বিসিক শিল্পনগরী চুয়াডাঙ্গার প্লট বরাদ্দ প্রদানের বিষয়ে উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (ডিডিএলজি) শারমিন আক্তার, বিসিকের ডেপুটি ম্যানেজার এবিএম আনিসুজ্জামান, সহকারি কমিশনার আবদুর রহমান, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিষ্ট নরেশ চন্দ্র বিশ^াস, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজীব হাসান কচি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক আসলাম হোসেন অর্ক ও মুখ্য সংগঠক সজিবুল ইসলাম, মুখপাত্র তামান্না খাতুন, ব্যবসায়ী রুমন আলী জোয়ার্দ্দার, লিটন আলী, জাহাঙ্গীর আলম, ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আব্দুর রহিম এবং বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধি ও উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বুদ্ধকরণ সভায় প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন বিসিক কর্মকর্তা রাসেল আহমেদ। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) শিল্প নগরী চুয়াডাঙ্গার অবস্থান ডিঙ্গেদহে। প্রকল্প স্থাপনে মোট ব্যয় ৪১ কোটি ৯১ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠাকাল ২০১৪ জুলাই থেকে ২০২১ জুন পর্যন্ত। মোট জমির পরিমাণ ১৫ দশমিক ১২ একর। রাস্তার পরিমাণ ৬ দশমিক ১২ একর। অন্যান্য ১ দশমিক ৪২ একর। বরাদ্দযোগ্য জমির পরিমাণ ১৭ দশমিক ৫৮ একর। বরাদ্দযোগ্য জমির পরিমাণ ৫ দশমিক ৭৮ একর। জমির মূল্য ৪৮২ টাকা প্রতি বর্গফুট। ২ লাখ ১০ হাজার প্রতি শতক। মোট প্লট সংখ্যা ৭৮টি । বরাদ্দকৃত প্লট সংখ্যা ২৭ টি। বরাদ্দকৃত শিল্প ইউনিট ২৫ টি। বরাদ্দযোগ্য খালি প্লট সংখ্যা ৫১ টি। উৎপাদনকৃত শিল্প ইউনিট ২টি। বাস্তবায়নাধীন শিল্প ইউনিট ৪টি। নির্মাণ কাজ শুরু করেনি ১০টি। প্লটের সাইজ ৯ হাজার থেকে ১২ হাজার স্কয়ার ফুট।
বিসিক শিল্প নগরীর প্লটের মূল্য জমির পরিমাণ ৯ হাজার বর্গফুট। মোট মূল্য ৪৩ লাখ ৩৮ হাজার ৮১০ টাকা। শতকরা ২০ ভাগ ডাউন পেমেন্টে ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৭৬২ টাকা (পুরুষ) এবং নারীদের জন্য শতকরা ১৫ ভাগ ডাউন পেমেন্টে ৬ লাখ ৫০ হাজার ৮২১ টাকা। বাকী টাকা ৬ বছরে মধ্যে পুরুষ এবং ৭ বছরের মধ্যে নারীরা পরিশোধ করতে পারবেন।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (ডিডিএলজি) শারমিন আক্তার বলেন, বিসিক ক্ষুদ্র শিল্প গঠনে ভূমিকা পালন করে। করোনার মধ্যে অনেক উদ্যোক্তা তৈরী করে দিয়েছে। উদ্যেক্তাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পানি, বৈদ্যুতিক, রাস্তা নির্মাণ ও ড্রেনেজ নির্মাণ সুবিধা পাওয়া যাবে। বিসিকের জন্য আলাদা শিল্প উদ্যোক্তা গড়ে উঠবে। ব্যাংক লোন পাওয়া যাবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজানুর রহমান বলেন, কর্মমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা নেই। উদ্যোক্তা গড়ে তোলা সম্ভব। বিশে^র বিভিন্ন দেশ জনসংখ্যার অভাবে রোবট ব্যবহার করছে। প্রথমে ছোট আকারে শুরু করবেন। আস্তে আস্তে বড় করবেন। ব্যাংক টাকা দেওয়ার জন্য বসে আছে। যারা আছেন তারা চিন্তা ভাবনা করেন। জেলা প্রশাসকসহ সকল প্রতিষ্ঠান হেসেল ফ্রি কাজ করবেন। যে সময়সীমা আছে তার মধ্যে কাজ শুরু করতে পারবেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.