মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানু প্রদেশে এখন থেকে বৈধ কারণ ছাড়াই জুমার নামাজ বাদ দিলে মুসলিম পুরুষদের সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড বা ৩ হাজার রিঙ্গিত (প্রায় ৭০ হাজার টাকা) পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। এর আগে টানা তিন সপ্তাহ জুমার নামাজে অনুপস্থিত থাকলে শাস্তির বিধান ছিল।
সিনার হারিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির তেরেঙ্গানুর দাওয়াহ ও শরিয়াহ বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ খলিল জানিয়েছেন- যদি সতর্কবার্তা ও নিয়মিত স্মরণ করানোর পরও কেউ নামাজ বাদ দেন; তাহলে এ ধরনের শাস্তি কেবলমাত্র শেষ উপায় হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, রাজ্যজুড়ে মসজিদ প্রাঙ্গণে সতর্কতামূলক ব্যানার টানানো হচ্ছে, যাতে সবাই বুঝতে পারেন জুমার নামাজ আদায়ের ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা কতটা গুরুতর। মুসলমানদের উচিত এ আইন বাস্তবায়নকে ধর্মের মর্যাদা রক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা।
ড. খলিল জানান, নতুন এ নিয়ম কার্যকর করতে জনগণের অভিযোগ গ্রহণ, টহল ও তেরেঙ্গানু ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট (জেএইচইএটি) ও স্থানীয় প্রশাসনের যৌথ অভিযানের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে।
তিনি আরও বলেন, এ বিধান ২০১৬ সালে পাশ হওয়া শরিয়াহ ক্রিমিনাল অপরাধ আইনের (তাকজির) সংশোধিত সংস্করণের অংশ। এর আগে কেবল ধারাবাহিকভাবে তিন সপ্তাহ জুমার নামাজ মিস করলে ব্যবস্থা নেওয়া হতো। তবে সংশোধনের পর এখন একবার নামাজ মিস করলেও শাস্তির আওতায় আসা সম্ভব।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.