আলমডাঙ্গার বড় বোয়ালিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে যুবককে গলা কেটে হত্যা চেষ্টা

হাটবোয়ালিয়া/ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গা ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নের বড় বোয়ালিয়া গ্রামের মিলন আলী নামের এক যুবককে গলা কেটে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে চাচা রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। গত পরশু শুক্রবার রাত ১টার দিকে বড় বোয়ালিয়া কুটিপাড়ায় এই হত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটে। মিলন আলী (২৮) বড় বোয়ালিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। শুক্রবার রাতে আহত মিলনকে প্রথমে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হারদীতে নেয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। জানা গেছে, জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে একই গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে মিলন ও আকুববরের ছেলে রফিকুল ইসলামের সাথে। তারই জের ধরে এই হত্যা চেষ্টা হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন এলাকাবাসী। মিলনের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার মাথাভাঙ্গাকে জানান, আমার চাচা শ্বশুরের সাথে জমি নিয়ে ঝামেলা চলছিল এবং এই জমি নিয়ে কেস চলছে কিন্তু হঠাৎ করে আমাদের উপর এমন ঘটনা যে ঘটবে আমরা বুঝতে পারিনি । আমরা ওই সময় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম চেঁচামেচির শব্দ শুনে উঠে দেখি প্রস্রাব খানার পাশে আমার স্বামী পড়ে আছে গলা থেকে রক্ত বের হচ্ছে। মিলনের বাবা শফিকুল ইসলাম জানান, আমার জমি নিয়ে ঝামেলা চলছিল তারই জের ধরে রফিকুল ইসলাম ও সন্টু বিশ্বাস ওরা আওয়ামী লীগের লোক এদের ২ জনের নেতৃত্বে ৭/৮ জন আমার ছেলের ওপর আক্রমণ করে এবং গলায় ছুরির পোচ দিয়ে পালিয়ে যায় । এদের ২ জনকে আমি চিনতে পেরেছি। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় তিনি অবশ্যই মামলা করবেন। এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাসুদুর রহমান মাথাভাঙ্গাকে জানান, শুক্রবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন হাট বোয়ালিয়া পুলিশ ক্যাম্প আইসি এসআই হাফিজ উদ্দিন। এবিষয়ে ভুক্তভোগি পরিবারের পক্ষ থেকে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More