আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় পাখিভ্যান থেকে পড়ে আব্দুল হান্নান নামের একজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে পাইলট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গেটের সামনের বিট পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল হান্নান (৪৫) কালিদাসপুর দক্ষিণপাড়ার মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে এবং গিরিধারী লাল মোদির ফার্মের কর্মচারী। জানা গেছে, আব্দুল হান্নান দীর্ঘ ৭ বছর ধরে উত্তরা ট্রেডার্স গিরিধারী লাল মোদীর ফার্মে চাকুরি করেন। হান্নানের দুই ছেলে। বড় ছেলে কয়েক মাস আগে বিদেশ গিয়েছে। বাড়িতে ছোট ছেলে বৃদ্ধা মা ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করেন। প্রতিদিন বাড়ি যাওয়ার সময় হান্নান উপজেলার গেটে মন্টুর দোকানে পান খেয়ে বাড়ি যেতেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে শহীদমিনার মাঠ মাইক্রোবাস স্টান্ড থেকে পাখিভ্যানে ওঠেন উপজেলার সামনে আসার জন্য। আলমডাঙ্গা থানার সামনের বিট পার হওয়ার সময় ভ্যান থেকে হান্নান পড়ে যায়। তাকে পাখি ভ্যান চালক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করে প্রথমে ফাতেমা টাওয়ার ও পরে ডক্টরস কেয়ার এন্ড স্পেশালাইজড হসপিটালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পাখিভ্যান চালক হাউসপুর গ্রামের শামীম জানান, আমার বোনকে স্টেশনে রাখার জন্য যাচ্ছিলাম। মাইক্রোবাস স্টান্ডের সামনে থেকে আমার ভ্যানে উঠতে যায়। তার মুখ থেকে মদের গন্ধ বের হওয়ায় আমি নিতে না চাইলে আমাকে ধমক দিয়ে বলে তোকে তো ভাড়া দিব। জোর করেই ভ্যানে উঠে পড়ে। ভ্যানে উঠার পর গার্লস স্কুলের গেটের সামনের বিট পার হওয়ার সময় ভ্যান থেকে পড়ে যায়। কয়েকজন তাকে ধরে তুলে দিয়ে ডাক্তারের নিকট নিয়ে যেতে বলে। স্থানীয় কয়েকজন জানান, আব্দুল হান্নান নিয়মিত মদ্য পান করতো। মদ্য পান করার কারণে ভ্যান থেকে পড়ে গিয়ে পরে তার মৃত্যু হয়েছে। আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান পিপিএম জানান, আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের গেটের সামনের বিট পার হওয়ার সময় পাখিভ্যান থেকে হান্নান নামের একজন পড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে দ্রুত ডাক্তারের নিকট নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। রাতেই সুরতাহল রিপোর্ট সম্পন্ন করে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.