আলমডাঙ্গায় বৃদ্ধ নারীকে ডেকে নিয়ে ছিনতাইয়ের পর জোরপূর্বক বিকৃত যৌনাচার

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গায় বৃদ্ধ এক নারীকে কৌশলে ডেকে নিয়ে ছিনতাইয়ের পর বিকৃত যৌনচার করেছে এক যুবক। লোকলজ্জার ভয়ে ওই নারী কোনো অভিযোগ করতে পারছেন না। তবে তিনি তার ছিনতাই হওয়া গয়না ফিরে পেতে চান এবং অভিযুক্ত যুবকের বিচার চান। গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ বাজার সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধ নারী অভিযোগ করেন, গত বুধবার মেয়ের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন ওই নারী। বেলা ১১টার দিকে জেহালা ইউনিয়নের মুন্সিগঞ্জ বাজারে পৌঁছালে তার বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। তিনি স্থানীয় সোনালী ব্যাংকের সামনের একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলে তড়িঘড়ি ঢুকে পড়েন। কিন্তু বাথরুম বন্ধ থাকায় ফিরে আসছিলেন তিনি। এসময় স্কুল মার্কেটের সিঁড়ির সামনে ফর্সা বেটে এক যুবকের সাথে দেখা হয় তার। ওই যুবকের গায়ে গেঞ্জি ও পরনে জিন্সপ্যান্ট ছিলো। ওই যুবক বৃদ্ধ নারীকে দাদি বলে সম্বোধন করে জানায় আমার মা একজন বৃদ্ধ মানুষকে খাওয়ানোর মানত করেছে। তাই দাদি তোমাকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে যাবো। বৃদ্ধ নারী যেতে না চাইলে অনেকটা জোর করেই স্কুলের পেছনের জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায় সে। জঙ্গলের দিকে কেন নিয়ে যাচ্ছে জানতে চেয়ে পেছন ফিরে চলে আসতে চাইলে ওই যুবক লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয় বৃদ্ধাকে। এসময় পাঁজাকোলা করে জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে গিয়ে গলাটিপে ধরে নারীর। ওই নারী চিৎকার দিলে হত্যার হুমকি দেয় সে। একে একে একজোড়া স্বর্ণের বালা, গলার স্বর্ণের চেন ও স্বর্ণের কানের দুল খুলে নেয়। এরপর পরনের কাপড় খুলে বুকের ওপর বসে মুখের মধ্যে বিকৃত যৌনচার করে। যৌনাচার শেষে যুবক পালিয়ে যায়। এমন বর্ণনা দিতে গিয়ে বৃদ্ধা কান্নায় ভেঙে পড়েন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন ‘আমার ছেলে মেয়েসহ জামাই, নাতি নাতকুড় আছে তাদের সামনে আমি মুখ দেখাবো কিভাবে। আমি এর বিচার চাই।’ এ ব্যাপারে স্থানীয় জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল হক রোকন বলেন, ‘বৃদ্ধ নারীর এক মেয়ে এসে ঘটনাটি আমাকে জানিয়েছেন। এলাকায় ওই কুলাঙ্গার ছেলেটির সন্ধান চালাচ্ছি। আশা করি শিগগিরই ধরা পড়বে সে। এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More