আলমডাঙ্গায় ভূমিহীন দম্পতির প্রধানমন্ত্রীর দেয়া সরকারি ভূমি ও গৃহ দখলের চেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামে ভূমিহীন এক দম্পতির প্রধানমন্ত্রীর দেয়া সরকারি ভূমি ও গৃহ দখলের অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ এবং আদালতে মামলা করেছে ভূমিহীন ইদ্রিস আলীর স্ত্রী বেদেনা খাতুন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মামলার বাদী বেদেনা খাতুন কোর্টে মামলার তদবিরে এলে এ প্রতিবেদকের কাছে ভূমি ও গৃহ দখলের বিষয়ে অভিযোগ করেন। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন মামলার বাদী বেদেনা খাতুন।

এদিকে, বিষয়টি সমাধান চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন মামলার বাদী বেদেনা খাতুন ।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের চারাপাড়ার ভূমিহীন ইদ্রিস আলীকে  ২০২১ সালের ২১ জানুয়ারি ২শতক জমি ও দুই কামরা বারান্দাসহ গৃহ নির্মাণ করে উপহার হিসেবে বাড়ি বুঝিয়ে দেন উপজেলা প্রশাসন। ওই বাড়িতে ভ্যান চালক ইদ্রিস আলী স্ত্রীসহ পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করেন। কিন্তু মামলার বাদী বেদানা খাতুনের সাথে বাড়ীর জমিজমা নিয়ে পূর্ব বিরোধসহ পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে পূর্ব বিরোধ রয়েছে। পূর্ব বিরোধের কারণে গত ১৬ মে দুপুরে আলমডাঙ্গার এনায়েতপুর গ্রামের সাদ্দাম হোসেন, আনারুল, ফেরদৌসি খাতুন, আনারুল ইসলাম, রুমা থাতুন, শিউলি খাতুন, আন্না খাতুন ও  মেহেরুন খাতুন  বাদীর বাড়ীতে গালিগালাজ করে এবং বসত বাড়ির বেড়া ভাংচুর করে অনুমান ১৫ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। একইভাবে গত ১৭ মে দুপুরে  মহি উদ্দিন, সাদ্দাম হোসেন, আনারুল ইসলাম, ফেরদৌসী খাতুন, রুমা খাতুন, শিউলি খাতুন, আন্না খাতুন, মিনারুল ইসলাম ও মেহেরুন খাতুন বাদীর বাড়িতে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং পায়খানা ভাংচুর করে ১০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। এ দুটি ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বেদানা খাতুন। এ অভিযোগ দায়েরের পর মামলার বাদী দিন-রাত আতংকের মধ্যে বসবাস করছেন। নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে গত ২৪ মে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় আন্না, আনারুল, মহি উদ্দিন ও মিনারুলকে বিবাদী করা হয়েছে।

এব্যাপারে জানতে চাইলে বাড়াদী ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য হাসিবুল হক জানান, রাস্তা বের করা নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সমস্যা আছে। আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টায় আছি। এবিষয়ে মামলা হয়েছে শুনেছি।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে জানতে চাইলে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রনি আলম নূরকে পাওয়া যায়নি।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More