আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৩ ইউপি চেয়ারম্যানের শপথ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক

দেশ ও মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করতে হবে
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার এ শপথবাক্য পাঠ করান।
নবনির্বাচিতরা চেয়ারম্যানরা হলেন মোজাহিদুর রহমান জোয়ার্দ্দার লোটাস (খাদিমপুর), শেখ আসাদুল হক (কালিদাসপুর), সোহানুর রহমান (ভাংবাড়িয়া), হাসানুজ্জামান সরোয়ার (চিৎলা), মো. আশিকুজ্জামান (হারদী), সিলন আলী (জেহালা), আবু সাইদ (কুমারী), নজরুল ইসলাম (জামজামি), তাফসির আহমেদ (খাসকররা), তবারক হোসেন (বাড়াদী), মাহমুদুল হাসান (বেলগাছি), মুন্সি মো. এমদাদুল হক (গাংনী) এবং তারিকুল ইসলাম (ডাউকী) ।
শপথ অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরীন স্বাগত বক্তব্য রাখেন। শপথ অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আলিমুজ্জামান ও পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক এবং সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী পরিচালক বিএম তারিক-উজ-জামান শপথ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
শপথ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, প্রত্যেকটা মানুষকে নিজের মনে করে কাজ করবেন। প্রত্যেকটা মানুষ যেনো আপনাদের কাছ থেকে সেবাটা পায়। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার প্রধানমন্ত্রী বাস্তবায়ন করেছেন। ইউনিয়ন পর্যায়ে আপনারা বাস্তবায়ন করবেন। সেখানে ৭০টি সেবা দিচ্ছে। ব্রডব্যান্ড লাইন হয়েছে। জমিজমা সংক্রান্ত জটিলতা দুর করতে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। ৮০-৯০ ভাগ ডাটা এন্ট্রি হয়ে গেছে। চুয়াডাঙ্গা সারাদেশে ২নং আছে। জন্ম নিবন্ধনে সেরা পাঁচে আছে। সরকারের বিষয়গুলো থাকবে সেকাজগুলো গুরুত্ব দেবেন। মিনি সচিবালয় ইউনিয়ন পরিষদ। উন্নয়ন ধীর গতি হলে বাস্তবায়ন ধীর গতি হয়। মহামারী করোন মোকাবেলা করেছেন। ওমিক্রন ধেয়ে আসছে। সচেতনতামূলক কার্যক্রম করবেন। বাল্যবিয়ে, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও দুর্নীতি বিরোধী কাজ করতে হবে। নাগরিকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হবে। সরকারি আদেশ নির্দেশ মেনে চলতে হবে। সমাজের সব মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। সমাজকে একটি ভালো জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়। বঙ্গবন্ধু সাড়ে ৩ বছর কাজ করেছিলেন। দুর্ভাগ্য তাকে আমরা বেশিদিন পায়নি। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে বাস্তবায়ন করছে। ২০৪১ সালে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে আপনার অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন। সমাজের অবহেলিত মানুষকে পাশে নিয়ে আসতে হবে। শপথ নিচ্ছেন তার প্রতিদান দেবেন। দেশ ও মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করবেন। নিজের স্বার্থ সামনে আনবেন না। আপনারা সৌভাগ্যবান। শতভাগ আন্তরিকতা দিয়ে ইউনিয়নের উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন।
প্রসঙ্গত: গত ২৮ নভেম্বর এ ১৩ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More