স্টাফ রিপোর্টার:চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: শরীফুজ্জামান শরীফের নির্বাচনী প্রচারণা এখন সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে গণজোয়ারের রূপ নিয়েছে। দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামে কর্মীদের পাশে থাকা এবং তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর গভীর ব্যক্তিগত সংযোগই তাঁর প্রচারণাকে এক ভিন্ন মাত্রার আবেগ যোগ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মো: শরীফুজ্জামান শরীফ আলমডাঙ্গা পৌর ৪নং ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের কাছে ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ ও প্রচারণা চালান। এই এলাকায় তাঁর পারিবারিক ও ব্যক্তিগত পরিচিতি থাকায়, স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে শুধু নেতা হিসেবে নয়, বরং পরিবারের একজন আত্মীয় হিসেবে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। প্রিয় নেতাকে কাছে পেয়ে অনেকেই আবেগাপ্লুত হন। তাঁরা বুকে ও হাতে হাত রেখে নিজেদের দৈনন্দিন জীবনের সুখ-দুঃখের কথা ব্যক্ত করেন। প্রার্থীর প্রতি সাধারণ মানুষের এই গভীর আস্থা প্রমাণ করে, তাঁর নির্বাচনী প্রচারণা নিছক ভোট চাওয়া নয়, এটি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের বার্তা।
৪নং ওয়ার্ডের সাধারণ জনগণের সঙ্গে কথা বলার পর মো: শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, ‘আমার ভাই ও বোনেরা, এই ৪নং ওয়ার্ডের মানুষজন আমার আত্মার আত্মীয়। আমি আজ এখানে এসেছি শুধু ভোট চাইতে নয়, আপনাদের জীবনের পরিবর্তন ঘটানোর একটি সহজ পথ দেখাতে। আপনারা বলুন, একজন সীমিত আয়ের মানুষ হিসেবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে কি আপনারা শান্তি পান? কেন আপনাদের এত কষ্ট? কারণ, গত দেড় দশকে আপনাদের সমস্ত অধিকার ও অর্থনীতি স্বৈরাচারী গোষ্ঠীর হাতে জিম্মি ছিল।”
তিনি আরও বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান সেই কারণেই আপনাদের মুক্তির জন্য ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার রূপরেখা ঘোষণা করেছেন। এটি কোনো কঠিন বই নয়, এটি আপনাদের জীবনের সমস্যার সমাধান। আমি আপনাদের কাছে এই সহজ মুক্তির বার্তা নিয়ে এসেছি। ৩১ দফায় আমরা ওয়াদা করেছি—কৃষকের ফসলের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করব, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ব এবং বেকার তরুণদের জন্য চাকরির সুযোগ তৈরি করব। ধানের শীষের বিজয় মানে আপনাদের জীবনে মুক্তি, শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং ইনশাআল্লাহ বিজয়ী হওয়ার পরও আপনাদের সেবায় নিয়োজিত থাকব। আপনারা আর ভয় পাবেন না। আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষকে ভোট দিন। আপনাদের ভালোবাসা কোনো দিন বৃথা যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান সেই কারণেই আপনাদের মুক্তির জন্য ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার রূপরেখা ঘোষণা করেছেন। এটি কোনো কঠিন বই নয়, এটি আপনাদের জীবনের সমস্যার সমাধান। আমি আপনাদের কাছে এই সহজ মুক্তির বার্তা নিয়ে এসেছি। ৩১ দফায় আমরা ওয়াদা করেছি—কৃষকের ফসলের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করব, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ব এবং বেকার তরুণদের জন্য চাকরির সুযোগ তৈরি করব। ধানের শীষের বিজয় মানে আপনাদের জীবনে মুক্তি, শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং ইনশাআল্লাহ বিজয়ী হওয়ার পরও আপনাদের সেবায় নিয়োজিত থাকব। আপনারা আর ভয় পাবেন না। আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষকে ভোট দিন। আপনাদের ভালোবাসা কোনো দিন বৃথা যাবে না।’
মোঃ শরীফুজ্জামান শরীফ আরও বলেন, ‘ধানের শীষকে যারা ভালোবাসে, শহীদ জিয়ার আদর্শকে যারা ভালোবাসে একটি নেতাকর্মীও যেন ধানের শীষের বাইরে না থাকে সেইটা দেখাও আমাদের সবার দায়িত্ব। সে জন্য আমরা সবাই সহানুভ’তিশীল ও উদারতা প্রদর্শনের মাধ্যমে ধানের শীষের ভাইদেরকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী দিনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব।’
গণসংযোগকালে মোঃ শরীফুজ্জামান শরীফের সাথে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আখতার হোসেন জোয়ার্দার, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন, আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু, যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুব হক মাস্টার, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার কাজী সাচ্চু, জেলা কৃষক দলের আহবায়ক মোকাররম হোসেন, জেলা জাসাস এর সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি খন্দকার আরিফ, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মীর উজ্জ্বল, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক চৌধুরী আলম বাবু, আলমডাঙ্গা পৌর যুবদলের আহবায়ক নাজিম উদ্দীন মোল্লা, সদস্য সচিব সাইফুল আলম কনক,যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল কাদের, যুগ্ম আহবায়ক ও পৌর কাউন্সিলর সাইফুল আলম, আলমডাঙ্গা পৌর সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক হিমেল, সদস্য সচিব জাকারিয়া হোসেন শান্ত, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক আতিক হাসান রিংকু, চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের সদস্য শাহারুখ আহমেদসহ বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.