ভালাইপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা ভালাইপুর মোড় হাটবোয়ালিয়া সড়কের খাদিমপুর মোড়ে বেপরোয়া গতির চলন্ত মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সাইফুল ইসলাম মোল্লা নামে একজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে গুরুতর আহতাবস্থায় প্রথমে রাজশাহী নেয়ার পথে কুষ্টিয়ার পোড়াদহে পৌঁছুলে মারা যান তিনি। নিহত সাইফুল ইসলাম (৩৫) আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের শরীফ মোল্লার ছেলে ও মুদি দোকানী। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক রোকন আলী আহত হয়েছেন। আহত রোকন একই গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী নজরুল ইসলাম ও কালু মিয়া জানান, বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর মোড়ের সাইফুল ইসলাম তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়। এতে সাইফুল ইসলাম রক্তাক্ত জখম হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। অবস্থার অবনতি হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যবর চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন বলেন, দুর্ঘটনায় সাইফুল ইসলামের বুকে এবং মাথায় প্রচন্ড আঘাত লাগে। তার শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। নিহত সাইফুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা জানান, অ্যাম্বুলেন্স যোগে সাইফুল ইসালমকে রাজশাহী নেয়া হচ্ছিল। পথিমধ্যে রাত ১০টার দিকে কুষ্টিয়ার পোড়াদহ নামকস্থানে পৌছালে মারা যান তিনি।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এবিষয়ে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ করা হয়নি। কয়রাডাঙ্গা গ্রামের ওয়াশিম ও শামিম হোসেন বলেন, রোকন সবসময় বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাতেন। মাঝে মাঝে মোটরসাইকেলের হেন্ডেল ছেড়ে দিয়েও তাকে চালাতে দেখা গেছে। দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর কারনে কয়েক দফা দুর্ঘটনাও ঘটিয়েছে সে। নিহত সাইফুল ইসলাম দুই মেয়ে এক ছেলের জনক ছিলেন। আজ রোববার সকাল ৯টার পর গ্রামের কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।