ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক নারী কেলেঙ্কারিতে বহিষ্কৃত : সদস্য সচিব বিবাহিত!

ইবি প্রতিনিধি: প্রায় এক যুগ পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদলের নতুন কমিটি দিয়েছে কেন্দ্র। কমিটি ঘোষণার পরই নতুন কমিটি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি ও সদস্য সচিব বিবাহিত এমন অভিযোগ করেছেন একাংশের নেতাকর্মীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন তারা। এছাড়া ৩১ সদস্যের কমিটিতে পদপ্রাপ্তদের মধ্যে অছাত্র, কারাবরণকারী ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দেয়াসহ কমিটি গঠনে অনিয়মসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন পদপ্রত্যাশীসহ সদ্য সাবেক নেতারা।
একইসঙ্গে খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি দলের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। এসব বিষয়ে নতুন কমিটি বাতিল চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজসহ পদপ্রত্যাশীরা। সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, নতুন কমিটিতে যারা পদ পেয়েছেন তাদের সিংহভাগ অপরিচিত। তাদের কখনো মিছিল-মিটিংয়ে দেখা যেত না। কমিটিতে কারাবরণকারী ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা এই লোক দেখানো পকেট ও সিন্ডিকেট কমিটি ঘৃণ্যভরে প্রত্যাখ্যান করছি।
তারা অভিযোগ করেন, কমিটির আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ ২০০৮ সালে তার এক বান্ধবীর পানির বোতলে প্রস্রাব করে খাওয়ান। এ ঘটনায় তার বান্ধবীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভাগ থেকে এক বছর বহিষ্কৃত ছিলেন। এছাড়া সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন বিবাহিত ও তার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রত্বও নেই। সংগঠনের নীতিমালা অনুযায়ী বিবাহিতদের ন্যূনতম সদস্য হওয়ারও যোগ্যতা নেই।
বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে মাসুদ রুমী মিথুন বলেন, অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমাকে ফাঁসানোর জন্য এ অভিযোগ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে যারা অভিযোগ করেছেন তারা যদি যথাযথ প্রমাণ দিতে পারেন তাহলে আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করব।
আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, আমার ফ্রেন্ডের (বান্ধবী) সঙ্গে সংঘটিত বিষয়টি নিতান্তই বিভাগের বিষয়। আমার ওই ঘটনার সাথে রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই। ঘটনাটি ২০০৮ সালের। আর আমি রাজনীতিতে ২০১০ সালে পদে এসেছি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি-সম্পাদক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ৩১ সদস্যের এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের সাহেদ আহম্মেদকে আহ্বায়ক এবং ইংরেজি বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের মাসুদ রুমী মিথুনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ১৭ মার্চ ইবি শাখা ছাত্রদলের কমিটিতে আইন বিভাগের ২০০৩-০৪ শিক্ষাবর্ষের ওমর ফারুককে সভাপতি ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষের রাশেদুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭ সদস্যের কমিটি দেয়া হয়। দুই বছর মেয়াদের কমিটিতে পার হয় ১১ বছর ৩ মাস।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More